এ যেন মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা। পরিবারকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য বাড়ি ফিরতে গিয়ে ভয়ানক দুর্ঘটনার শিকার হন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থ।
তাদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার। দুর্ঘটনার সেই সময়ে উল্টো দিক থেকে বাস চালাচ্ছিলেন সুশীল। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা দেখে আমি সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার ধারে বাস দাঁড় করাই এবং ডিভাইডারের দিকে ছুটে যাই। ভেবেছিলাম হয়তো আমার বাসের তলায় চলে আসবে গাড়িটা। একাধিকবার ওলটপালট খেয়ে তার পর সেটা থামে। গাড়ির জানালা দিয়ে চালকের শরীরের অর্ধেক অংশ বেরিয়েছিল। উনি আমাকে বললেন যে তিনি একজন ক্রিকেটার। ’
ক্রিকেট দেখেন না বলে পন্থকে চিনতে পারেননি সুশীল, ‘আমি ক্রিকেট দেখি না। তাই জানি না ঋষভ পন্থ কে। কিন্তু আমার বাসে বাকি যারা ছিল তারা তাকে চিনতে পেরেছিল। পন্থকে বাইরে বের করার পর আমি দ্রুত গাড়িতে খুঁজে দেখলাম আর কিছু রয়েছে কি না। একটা নীল ব্যাগ খুঁজে পাই, যেখানে সাত-আট হাজার টাকা ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে গিয়ে সেটা পন্থের হাতে তুলে দিই। ’
সুশীল ও পরমজিতকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভারতের সাবেক ব্যাটার ভিভিএস লক্ষ্মণ টুইটারে লেখেন, ‘হরিয়ানা মহসড়কের ড্রাইভার সুশীল কুমারের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যে কি না জ্বলন্ত গাড়ি থেকে পন্থকে বের করে এনেছিলেন এবং চাদর দিয়ে মুড়িয়ে পরে অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন। আমরা আপনার নিঃস্বার্থ সেবার জন্য অনেক ঋণী। বিশেষভাবে উল্লেখ করছি বাস কন্ডাক্টর পরমজিতের নামও, যে কি না সুশীলের সঙ্গে পন্থকে বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন। অসাধারণ উপস্থিত বুদ্ধি ও বড় হৃদয় নিয়ে চলা এসব নিঃস্বার্থ মানুষদের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ আমরা। যারা সাহায্য করেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ। ’
দুর্ঘটনার কারণে পন্থের কপালে দুটি ক্ষত চিহ্ন আছে, তার ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ছিড়ে গেছে। ডান কবজি, গোড়ালি, পায়ের পাতাতেও ব্যাথা পেয়েছেন তিনি। ঘর্ষণের ফলে পিঠে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এমআরআই স্ক্যানের পর বড় কোনো চোট ধরা পড়েনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
এএইচএস