না জিতলে ভালো খেলার দাম নেই, আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। পরের দিনও তার কণ্ঠে ছিল হতাশা।

এই ম্যাচে প্রথম ওভার মেডেন দিলেও শুরুটা মন্দ হয়নি। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে খেই হারায় বাংলাদেশ। অভিজ্ঞতা নাকি ইন্টেন্ট, কেন পিছিয়ে গেলেন তারা? টাইগ্রেস অধিনায়ক বলছেন, দেশের জার্সি গায়ে দেওয়ার মানেই হচ্ছে অভিজ্ঞতা। সিনিয়রদের কাছ থেকে আরও ভালো ব্যাটিংয়ের প্রত্যাশা তার।

জ্যোতি বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে বলবেন যে ইন্টেন্টের অভাব আছে। অভিজ্ঞতা বলতে কী, যখন আপনি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নামবেন তখন অবশ্যই আপনি অভিজ্ঞ; তাই আপনাকে নামানো হচ্ছে। কারণ নিয়মিত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছি, হয়তো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছি না। আমাদের ওই পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, কোচিং স্টাফরা অনুশীলন করাচ্ছে। তাহলে কেন পারছি না? হয়তো ইন্টেন্টের তো একটা বিষয় থাকে। ’

‘দুইটা ডট বল দিলে একটা চাপ তৈরি হয়, সেটাকে ওভারকাম করতে আরও দুটো ডট হচ্ছে। যখন স্বর্ণা এই কাজটা করবে বা আন্ডার নাইন্টিন খেলে আসছে তাদের জন্য ঠিক আছে। তারা হয়তো উপরের লেভেলের ক্রিকেট কম খেলেছে। কিন্তু যারা নিয়মিত বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে তাদের কাছ থেকে এরকম ব্যাটিং একটু হতাশাজনক। ’

বাংলাদেশের ব্যাটাররা অনেকেই ভালো শুরু করছেন, কিন্তু পরে লম্বা করতে পারছেন না সেটি। দীর্ঘদিন খেললেও এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তারা। কেন? জ্যোতি বলছেন, সমাধান খুঁজে বের করতে হবে ক্রিকেটারদেরই।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় স্কিল তো আছে। স্কিলফুল তারা। অবশ্যই পটেনশিয়াল আছে। তাই তো জাতীয় দলে তারা খেলছে অনেকদিন ধরে। সমস্যাটা হচ্ছে, আমার কাছে মনে হয়, এই জায়গা থেকে ব্যক্তিগতভাবে খেলোয়াড়দের বের হয়ে আসতে হবে। যখন একটা খেলোয়াড় ভালো একটা শুরু পায়, সে কেন ২৫ এর পরে আউট হবে। তাকে ইনিংসটা অবশ্যই লম্বা করতে হবে। ’

‘শট সিলেকশনের প্রতি আরেকটু চিন্তাভাবনা করতে হবে। পরিস্থিতি কী চাচ্ছে, আমরা সেটা অনেক সময় দেখছি না। আমার কাছে মনে হয় মনোযোগের ঘাটতিও হতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, আমার মতো খেলে গেলাম। এমনও হতে পারে। যদি একটু ওভারকাম করতে পারি….স্কিল থাকলে কেন পারফরম্যান্স হবে না। এটা আমাদের সবারই প্রশ্ন। আমার কাছে মনে হয়, যত দ্রুত ক্যামব্যাক করা যায়। সিরিজ যেন ওদেরকে না দেই, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম