ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মাঠে বাংলাদেশ শব্দ শুনলে ইতিবাচক ব্যাপার কাজ করে : জ্যোতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
মাঠে বাংলাদেশ শব্দ শুনলে ইতিবাচক ব্যাপার কাজ করে : জ্যোতি

সিরিজের কোনো টাইটেল স্পন্সর নেই, নেই ব্যানার বিলবোর্ডও। মাঠের বড় স্ক্রিনও কাজ করছে না ঠিকঠাক।

দর্শকদের ফ্রিতেই ঢোকার ব্যবস্থা থাকলেও খুব বেশি আগ্রহ নেই। এর মধ্যেই বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতের বিপক্ষে পেয়েছে দারুণ এক জয়। পাঁচ বছর পর এসেছে এই জয়।  

এদিন মাঠে দর্শকও ছিল কিছু। গ্যালারি থেকে তারা ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’ স্লোগান দিচ্ছিলেন বারবার। জয়ের পর এ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। সমর্থন পেলে তাদের ভেতর ইতিবাচকতা কাজ করে, জানিয়েছেন এমনও।  

তিনি বলেন, ‘আমি বলব আজকে যেটা আপনারা বললেন যে, এখন এটা পুরোপুরি মিডিয়ার উপরে নির্ভর করছে। যত বেশি আমাদের নিউজটা ছড়াবে, মানুষ জানতে পারবে, আমার মনে হয় নারী দলকে অনেকেই অনুসরণ করে। অবশ্যই আমি দর্শকদের আবেদন জানাবো, তারা যেন আরো আসে। কারণ যখন দর্শকদের সমর্থন এলে  ইতিবাচক সমর্থন পাওয়া যায়। ’

‘আমার কাছে মনে হয়, আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম, সবার এটা বিশ্বাস ছিল, মাঠ থেকে যখন আমি বাংলাদেশ বাংলাদেশ শব্দ শুনতে পাই, তখন আসলে ভিতর থেকে ইতিবাচক একটা ব্যাপার কাজ করে। না দেশের জন্য খেলছি, দেশের জন্য আরেকটু লড়াই করি, শক্তিটা অন্যরকম থাকে। দর্শক আরো এলে আরো ভালো বাড়বে, যারা এসেছেন তাদের ধন্যবাদ। উনাদের সমর্থনেই আমরা এতদূর। ’

ছেলেদের সিরিজ আসলেই মাঠে থাকে সাজ সাজ রব। স্পন্সর, বিসিবি কর্তা, দর্শকও থাকে অনেক। এ নিয়ে অবশ্য তুলনা করতে চান না জ্যোতি। তিনি বলছেন, খবর ছড়িয়ে পড়লেই সবকিছুই বাড়বে।  

তিনি বলেন, ‘তুলনা এখানে কোনো ইস্যু না। বিষয়টা হচ্ছে আমরা চাই ভালো ক্রিকেট খেলে আমাদের মেলে ধরতে। স্পন্সর আসছে না এটা আপনাদেরও দায়িত্ব। স্পন্সর কেন আসবে বলেন, যখন খেলাগুলো সম্প্রচার হবে তখন স্পন্সররা আসবে অবশ্যই। খেলা দেখায় না, নিউজগুলো ছড়ায় না; যদি আপনারা সাহায্য করেন, আমাদের যদি আপনারা বাংলাদেশের কাছে মেলে ধরেন। যখন মানুষ আগ্রহী হবে, তখন বাণিজ্যিকভাবে আমাদের ক্রিকেট বিক্রি হবে। ’

মিরপুরে প্রায় ১১ বছর পর খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। সিরিজে পেয়েছে দারুণ এক জয়ও। বৃহস্পতিবার গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন নারী দলের অনেকের পরিবার। ম্যাচশেষে জ্যোতি জানালেন, নিজের সঙ্গে মিরপুরে খেলতে না পারার আক্ষেপ দূর হয়েছে পরিবারেরও।  

তিনি বলেন, ‘সবারই একটা আক্ষেপ ছিল। শুধু আমার পরিবার না, সবারই আক্ষেপ ছিল মিরপুরের মাঠে কেন খেলা হয় না। কারণ মিরপুরের মাঠে যখন ছেলেদের খেলা হয়, তখন সবাই টিভিতে দেখে বা গ্যালারিতে এসে বসে দেখে। অবশ্যই অনেকদিন ধরে খেলছি বাংলাদেশের হয়ে, এই মাঠে খেলা হয়নি। আক্ষেপ যেমন নিজের ছিল, পরিবারেরও ছিল। ’

‘কারণ এটা একটা স্পেশাল গ্রাউন্ড আমি মনে করি। এখানে আমরা অনেকদিন পরে খেলে জয়লাভ করেছি। যেটা দলের জন্য বড় একটা অর্জন। পরবর্তীতে যেন আরও খেলা এখানে খেলতে পারি তার জন্য একটা ভালো দিক। ’


বাংলাদেশ সময় : ২০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩,  ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।