ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

রানপাহাড় গড়ার পর বড় জয় রংপুরের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
রানপাহাড় গড়ার পর বড় জয় রংপুরের

একাদশের চার বিদেশির সবাই নতুন। কেউ এসেছেন সকালেই।

দুপুরে ম্যাচ খেলতে নেমে পারফর্ম করলেন তারা। ব্যাট হাতে রান পেলেন সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহানও। প্রথমবারের মতো বিপিএলে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পেলো কোনো দল। শেষ অবধি রংপুর রাইডার্স পেয়েছে বড় জয়ও।  

শনিবার বিপিএলের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৫৩ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি চট্টগ্রাম। ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান পোক্ত করেছে রংপুর। ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে চট্টগ্রাম।  

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৫৬ রান করে রংপুর। রনি তালকুদারের সঙ্গে রেজা হেনড্রিকসের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪১ বলে ৬১ রান। ১৭ বলে ২৪ রান করে পুল করতে গিয়ে নিহাদুজ্জামানের বলে রনি ক্যাচ দেন শাহাদাৎ হোসেন দীপুর হাতে।  

তবে আরেকপ্রান্তে ঠিকই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলা রেজা হেনড্রিকস। ৪১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ রান করার পর সালাউদ্দিন শাকিলের বলে ক্যাচ দেন তিনি। তার এক বল আগেই ফেরেন সাকিব আল হাসানও। ৩ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসে এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে ১৬ বলে আসে ২৭ রান। এই রান করার পথে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সাত হাজার রানের মাইলফলক ছুয়েছেন সাকিব।  

এক ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর রংপুরের রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায়। তবে সময়ের সঙ্গে ঠিকই মানিয়ে নেন জিমি নিশাম ও নুরুল হাসান সোহান। ৪৬ বলে ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা। ৫ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংসে ২৬ বলে নিশামের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। ২১ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক সোহান।  

রান তাড়ায় নামা চট্টগ্রামের জন্য সবচেয়ে বড় আশার নাম ছিলেন জস ব্রাউন। প্রথম ওভারে তিনি একটি ছক্কাও হাঁকান। কিন্তু ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তাকে ফিরিয়ে দেন সাকিব। ৯ বলে ১০ রান করা অজি ব্যাটারকে বোল্ড করেন তিনি।  

এরপর আর রান তোলার গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারেনি চট্টগ্রাম। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে তারা তোলে কেবল ৩২ রান। সৈকত আলি তখন অপরাজিত ১৭ বলে ৯ রান করে। পরে অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি তুলেছেন, কিন্তু সেটি কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।  

দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে শুভাগত হোমের ব্যাট থেকে। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৩ বলে ৩১ রান করেন তিনি। সৈকত আলির ব্যাট থেকে ৪৫ বলে আসে ৬৩ রান। রংপুরের পক্ষে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন সাকিব। সমান উইকেট নেন জিমি নিশামও।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।