বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহর মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছাড়াই ইংল্যান্ডকে অনায়াসে হারাল পাকিস্তান। ঘরের মাটিতে টানা ছয় ম্যাচ হেরে বিপর্যস্ত পাকিস্তান এই জয়ে কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।
মুলতানে স্বাগতিকদের ১৫২ রানের এই জয়ের পেছনে বোলারদের অবদান সবচেয়ে বেশি; বিশেষ করে দুই স্পিনার নোমান আলী ও সাজিদ খানের। তারা দুজন মিলেই দুই ইনিংসে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এর মধ্যে সাজিদের দুই বোলিং ফিগার যথাক্রমে ১১১/৭ ও ৯৩/২, নোমান প্রথম ইনিংসে ১০১ রানে ৩টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রানে ৮ উইকেট নিয়েছেন।
ইতিহাসে এক ম্যাচে দুই বোলার মিলে সব উইকেট নেওয়ার আরও ছয়টি ঘটনা আছে। তবে ১৯৭২ সালের পর এই প্রথম এমন ঘটনার সাক্ষী হলো ক্রিকেটবিশ্ব। অথচ সাজিদ ও নোমান দুজনের কেউই প্রথম টেস্টের একাদশে ছিলেন না। ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫০০-এর বেশি রান করেও ইনিংস ও ৪৭ রানে হেরে যায় পাকিস্তান। ইংলিশ ব্যাটাররা মাত্র এক ইনিংসেই তুলে ফেলেন ৮০০-এর বেশি রান।
সিরিজের প্রথম টেস্ট হারের ধাক্কায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নির্বাচক কমিটিতে পরিবর্তন আনে। নতুন নির্বাচক প্যানেলের সিদ্ধান্তে দল থেকে বাদ পড়েন বাবর, শাহিন ও নাসিম। তাদের জায়গায় সুযোগ পাওয়াদের মধ্যে আছেন নোমান ও সাজিদ। তাদের বোলিং ঝলকেই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম ঘরের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান।
ম্যাচে আরও কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন দুই পাকিস্তানি স্পিনার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার এখন নোমান আলীর। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৪৭ রানে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। মুলতানে সেরা বোলিং ফিগারও এখন তার। টেস্ট ইতিহাসে পাকিস্তানের হয়ে চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার গড়েছেন নোমান। একই টেস্টে পাকিস্তানের দুই বোলার সপ্তমবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন। সর্বশেষ ঘটনা ১৯৮৭ সালের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
এমএইচএম