ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

এবার আইপিএলে কেন উপেক্ষিত সাকিব-মোস্তাফিজরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
এবার আইপিএলে কেন উপেক্ষিত সাকিব-মোস্তাফিজরা

দুদিনব্যাপী আইপিএলের মেগা নিলামে খরচ হয়েছে ৬৩৯.১৫ কোটি রুপি। দল পেয়েছেন ১৮২ জন ক্রিকেটার, কিন্তু এর মধ্যে কেউই বাংলাদেশি নন।

যদিও নিলামে নাম ছিল ১২ জনের। তবে মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন ছাড়া কারও নাম তোলেননি সঞ্চালক।

তাই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের উপেক্ষিত হওয়ার বিষয়টি অনেককেই হয়তো বিস্মিত করেছে। বিশেষ করে মোস্তাফিজের না থাকা। আইপিএলে গত আসরে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে বল হাতে সময়টা ভালোই কেটেছে বাঁহাতি এই পেসারের। ৯ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ১৪টি। কিন্তু জাতীয় দলের ব্যস্ততা থাকার কারণে খেলতে পারেননি পুরো আসর।

মূলত সেটাই আইপিএলে কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার না থাকার অন্যতম কারণ। নতুন চক্রকে (২০২৫-২০২৭) সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের মেগা নিলাম। কিন্তু সাকিব বাদে আর কোনো ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই তিন আসরের পুরোটা সময় খেলার নিশ্চয়তা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে দিতে পারেনি বিসিবি। তাই দুই কোটি রুপি ভিত্তিমূল্য রাখা মোস্তাফিজের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো দলই।

আইপিএলে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হলেও সাকিব দল না পাওয়ার কারণ তার পড়তি ফর্ম ও বয়স। যদিও গত আসরেও দল পাননি সাকিব। এর আগের আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে খেলেননি।

২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত টানা ৬ বছর কলকাতায় খেলে দুটি শিরোপা জিতেছেন সাকিব। পরের দুই বছর হায়দরাবাদে খেলার পর ২০২১ সালে আবার ফেরেন কলকাতার ডেরায়। সবমিলিয়ে আইপিএলে ৭১ ম্যাচ খেলে ৬৩ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৭৯৩ রান করেন তিনি।

মোস্তাফিজ সেই তুলনায় অবশ্য বেশ আলোচিত ছিলেন। ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম আসরে খেলতে নেমেই জেতেন সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে। পরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ঘুরে মোস্তাফিজ নাম লেখান চেন্নাইয়ে। শেষ মৌসুমেই কেবল ছন্দে ছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে ৫৭ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি ৮.১৮ রান খরচ করে ৬১ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।  

সম্প্রতি ভারত সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিষ্প্রভই ছিলেন মোস্তাফিজ। ৩ ম্যাচে ওভারপ্রতি ১১.২৭ রান দিয়ে শিকার করেন কেবল ৪ উইকেট। তার প্রতি অনাগ্রহ দেখানোর সেটাও একটি কারণ হতে পারে।

মোস্তাফিজের বেলায় এমনটা ঘটার পর রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তাওহীদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব, তানজিদ হাসান তামিম, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহেদী হাসানরা যে অবিক্রিত থাকবেন তা অনুমিত ছিল।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
এএইচএস  


 


 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।