শুরুতে কিছুটা নিষ্প্রভই ছিলেন জিসান আলম। ৩৯ বলে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
এমন ইনিংসের পরও অবশ্য জেতেনি জিসানের দল সিলেট। দারুণ লড়াইয়ের পর ম্যাচ জিতেছে ঢাকা বিভাগ। টুর্নামেন্টের প্রথম দিনে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন নাঈম শেখও। তার দল জিতেছে ঠিকই।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট বিভাগ ৬ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। শুরুতে ব্যাট করে চার উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে সিলেট। ওই রান তাড়ায় নেমে শেষ বলে গিয়ে জয় পায় ঢাকা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেট পাওয়ার প্লের মধ্যেই হারায় তৌফিক খান তুষারের উইকেট। ১৭ বলে ২৯ রান করে নাজমুল ইসলাম অপুর বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। তখনও অবধি খুব একটা আক্রমণাত্মক হননি জিসান।
ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি পেতে ৩৯ বল খেলতে হয় তাকে। কিন্তু এরপরই রীতিমতো ঝড় তোলেন তিনি। ১৩ বলে করেন পরের পঞ্চাশ রান। এর মধ্যে ১৪তম ওভারে আরাফাত সানিকে পাঁচটি ছক্কা হাঁকান। নিজের মুখোমুখি হওয়া পরের তিন বলে ছক্কা হাঁকান আরও দুটি।
শেষ পর্যন্ত চারটি চার ও ১০ ছক্কার ইনিংসে ৫৩ বলে ১০০ রান করে নাজমুল অপুর বলে বোল্ড হন জিসান। সিলেটের হয়ে ১৭ বলে ৩০ রান করেন মাহফিজুর রহমান রাব্বি।
পরে রান তাড়ায় নেমে তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় ঢাকা বিভাগ। দুই বলে শূন্য রান করে অধিনায়ক সাইফ হাসান ফেরেন খালেদ আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়ে। ১৪ বলে ১৭ রান করে আউট হয়ে যান আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলীও।
কিন্তু এরপরই শুরু হয় ঢাকার ঝড়ের। ৪৩ বলে ১৩৭ রানের জুটি গড়েন আরিফুল ইসলাম ও আরাফাত সানি জুনিয়র। ৪৬ বলে ছয় ছক্কা ও ৮ চারে ৯৪ রান করে আরিফুল ও ১৮ বলে ১৭ রান করে আউট হন আরাফাত সানি।
তাদের বিদায়ের পরও ম্যাচ জমজমাট রাখেন শুভাগত হোম ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শেষ বলে তোফায়েল আহমেদকে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন শুভাগত। ১৮ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি, ২৩ বলে ৩০ রান আসে অঙ্কনের ব্যাটে।
একাডেমি মাঠে বরিশাল বিভাগকে ৩১ রানে হারিয়েছে ঢাকা মেট্টো। প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান করে মেট্টো। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানের বেশি করতে পারেনি বরিশাল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় ঢাকা মেট্টো। ১১তম ওভারের শেষ বলে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় তারা, দলের রান তখন ১১৯। স্রেফ ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নন অধিনায়ক নাঈম শেখ। ৩৫ বলে চারটি ছক্কা ও পাঁচটি চারে ৬৫ রান করে মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।
আরেক ওপেনার ইমরানুজ্জামানও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৩ বলে ৫৩ রান করে সোহাগ গাজীর বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ২৫ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন গাজী তাহজিবুল ইসলাম। বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেহেদী হাসান।
রান তাড়ায় নেমে বরিশালের হয়ে দুজন ব্যাটারের বাইরে বাকিরা তেমন রান করতে পারেননি। দলের পক্ষে ৫২ বলে ৪টি চার পাঁচটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ৩২ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক সোহাগ গাজী। তবে দলের জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট হয়নি। ঢাকা মেট্টোর হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রাকিবুল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম