দিনের শুরুর দুই খেলায় রান ছিল অনেক। দ্বিতীয়টিতে হয়নি তেমন।
সিলেটের একাডেমি মাঠে খুলনার বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ১৪ রানে জয় পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করে খুলনা। ওই রান তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভার ২ বল খেলে ৩ উইকেটে ১৫৩ রান করে রাজশাহী। এরপর বৃষ্টি নামলে ডিএলএসে জয় পায় তারা।
খুলনার হয়ে এই ম্যাচে খেলতে নামেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানও আসে তার ব্যাট থেকে। ৩টি চার ও চারটি ছক্কায় ৩১ বলে ৫৩ রান করে নিহাদ উজ জামানের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।
২৬ বলে ৩৭ রান আসে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে। আর শেষদিকে নেমে ১৫ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। রাজশাহীর হয়ে চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন ফরহাদ রেজা।
রান তাড়ায় নেমে রাজশাহীর হয়ে ঝড় তোলেন হাবিবুর রহমান সোহান। ৮টি চার ও চারটি ছক্কায় ৩৮ বলে ৬৬ রান করে আউট হন তিনি। ২৩ বলে ২৮ রান করেন আরেক ওপেনার সাব্বির হোসেন। ২২ বলে অপরাজিত ৩০ রান আসে প্রিতম কুমারের ব্যাট থেকে।
মূল মাঠে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে রংপুর। শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে চট্টগ্রাম। ওই রান তাড়া করতে নেমে ১৯ বল আগেই জয় পায় রংপুর।
এ ম্যাচে চট্টগ্রামের হয়ে খেলতে নামেন তামিম ইকবাল। গত মে মাসের পর এই প্রথম মাঠে নামলেন তিনি। যদিও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ১ ছক্কা ও সমান চারে ১০ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে গেছেন তিনি। চট্টগ্রামের হয়ে ২১ বলে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন মুমিনুল হক। রংপুরের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
রান তাড়ায় নামা রংপুরের হয়ে ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন ওপেনার তানভীর হায়দার। নাঈম হাসান ১২ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ৩ চারের ইনিংসে ১৯ বলে ২৫ রান করেন ওপেনার আকবর আলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ