ঢাকা: ওভালে পঞ্চম ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে সাত ম্যাচ সিরিজে ৩-১ এ লিড নিল কিউইরা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নে ও তিলেকারাত্নে দিলশান ৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ৪৫ রান করে থিরিমান্নে ফিরে গেলেও অপর প্রান্ত আগলে রাখেন দিলশান। দিলশান ছাড়া কেউই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। শুধুমাত্র মাহেলা জয়াবর্ধনে দিলশানকে সঙ্গ দিতে পেরেছেন।
এদিন দিলশান তার ২০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৯৫ বল মোকাবিলা করে ১৫টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে তিনি শতক পূর্ণ করেন। দলীয় ২১১ রানে জয়াবর্ধনে ৩০ রান করে আউট হয়ে গেলে লঙ্কান ইনিংসের একমাত্র ভরসা ছিল দিলশান। কিন্তু, চার রান যোগ করতেই তিনিও প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
১১৬ রান করে দিলশান আউট হওয়ার পর আর কেউই লঙ্কান ইনিংসের হাল ধরতে পারেননি। একপর্যায়ে ছয় ওভার দুই বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
কিউই বোলারদের মধ্যে ট্রেন্ট বোল্ট একাই নিয়েছেন চার উইকেট। এছাড়াও দু’টি করে উইকেট লাভ করেছেন টিম সাউদি, মিচেল ম্যাকক্লিনেগান ও গ্রান্ট এলিয়ট।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা না খুলতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। এরপর ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর দুই অঙ্কের রান করে আউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। একপর্যায়ে ৯৩ রান তুলতেই পাঁচ উইকেটের পতন ঘটে। এরপর লঙ্কান বোলিংয়ের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান এলিয়ট ও রঞ্চি।
এ ম্যাচে এলিয়ট ও রঞ্চি নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেন। এ দুই ব্যাটসম্যান ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ ২৬৭ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের যেকোন উইকেট জুটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এলিয়ট ও রঞ্চি দু’জনই সেঞ্চুরি তুলে নেন।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দু’টি করে উইকেট লাভ করেন নুয়ান কুলাসেকারা ও থিরিমান্নে।
উল্লেখ্য, জানুয়ারির ২৫ তারিখে একই মাঠে দ’দলের মধ্যকার ষষ্ঠ ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৫