ঢাকা: কাউকে কথা দিয়ে তা না রাখলে কিংবা ভুলে গেলে তা প্রতারণার শামিল বলেই গণ্য হবে। ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের প্রতি ঠিক এমনটিই করা হয়েছে।
২০১১ সালের এপ্রিলে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শচীনকে এই ডিগ্রি দেওয়ার ঘোষণা আসে। তখন সবাই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল। এরপর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। ঐ বছরই ভারতের হয়ে প্রথমবারের মতো স্বপ্নের বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন।
১৬০ বছরের পুরোনো মুম্বাই ইউভার্সিটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাত লাখ। এমন একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি শচীনকে দেওয়া কথা এড়িয়ে যান তা হবে খুবই দুঃখজনক। শচীন অবশ্য দশম শ্রেণীর গন্ডি পেরোতে পারেননি। সারা জীবন ক্রিকেটেই মনোনিবেশ করেছেন। দুর্বল ছাত্র ছিলেন বলেই কি তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিতে এতো কালবিলম্ব করা হচ্ছে।
তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, শচীনকে ডিগ্রি দেওয়া সংক্রান্ত ফাইলটি রাষ্ট্রের গভর্নরের নিকট পাঠানো হয়নি যিনি সকল রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যাঞ্চেলর (আচার্য)। তার অনুমতি ছাড়া কাউকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া সম্ভব নয়।
মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এমএ খান বলেন, ‘গভর্নরের কাছ থেকে অনুমতি পেলেই শচীনকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। অনেকেই হয়তো বলছেন শচীনের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকায় আমরা বিলম্ব করছি। তবে আমি পরিষ্কার ভাষায় বলকে চাই, আমরা যেকোনো অশিক্ষিত ব্যক্তিকেউ সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিতে দ্বিধা করব না। ’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের যশবন্ত্রাও চৌহান মহারাষ্ট্র ওপেন ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন শচীন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫