ঢাকা: সঙ্গী চিভাভাকে হারিয়ে দলকে একাই টেনে নেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন মাসাকাদজা। ৬৭ বলে ৭টি চার আর দুটি ছয়ে তিনি অপরাজিত আছেন ৭২ রানে।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৪০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালোই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজার বিদায়ের পর ১০৫ রানের জুটি গড়েন মাসাকাদজা এবং চিভাভা। তবে, ব্যক্তিগত ৬৪ রান করে ইমরান তাহিরের বলে ডুমিনির হাতে ধরা পড়েন চিভাভা।
এর আগে দলের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে আসেন চামু চিভাভা আর সিকান্দার রাজা। হ্যামিলটনের সেডন পার্কে ভালোই শুরু করে এলটন চিগুম্বুরা বাহিনী। প্রথম ৫ ওভারেই তুলে নেয় দলীয় ৩২ রান। তবে, সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ভারনন ফিল্যান্ডারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন সিকান্দার রাজা (৫ রান)।
প্রথম ইনিংসে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৮৩ রানের মাথায় টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়া দ. আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে করে ৩৩৯ রান। দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে শতক হাঁকানো জেপি ডুমিনি আর ডেভিড মিলার পঞ্চম উইকেটে রেকর্ড ২৫৬ রানের জুটি গড়েন।
দলীয় ৮৩ রানের মাথায় ডি কক, আমলা, ডি ভিলিয়ার্স আর ফাফ ডু প্লেসিসকে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘোরাতে চেষ্টা করেছিল জিম্বাবুয়ে। উল্টো সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ‘চোকার’ খ্যাত দলটির নির্ভরতার নাম জেপি ডুমিনি আর ডেভিড মিলার।
২৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে চাপের মুখ থেকে বের করে আনেন ডুমিনি আর মিলার। ডুমিনি ১০০ বলে ১১৫ রানে আর ডুমিনি ৯২ বলে ১৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ডুমিনি তার ইনিংসটি সাজান ৯টি চার আর তিনটি ছয়ে। তবে, ডুমিনির থেকে আগ্রাসী ছিলেন মিলার। ৭টি চারের পাশাপাশি তিনি ৯টি ছক্কা হাঁকান।
পুল ‘বি’ এর প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় আফ্রিকা মহাদেশের দুই প্রতিবেশী দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ে। এ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫