ঢাকা: বহুদিন পর শিরোনামে এলেন মার্শাল আইয়ুব ও নূর হোসেন। ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব হাঁকিয়েছেন অপরাজিত শতক।
ওয়ালটন ১৬তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডের খেলায় বিকেএসপির-২ নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয় ঢাকা মেট্রো ও চট্টগ্রাম বিভাগ।
টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে সোমবার প্রথম দিন শেষে ঢাকা বিভাগ ৬ উইকেটে ২৯০ রান সংগ্রহ করে। সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। দিন শেষে ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৬৯ বলে ১৪ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান মার্শাল।
চলতি লিগে এটি মার্শালের প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ ও তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম ইনিংসে বরিশালের বিপক্ষে ৫৬ রান করেন।
মার্শাল ছাড়া রানের দেখা পেয়েছেন সাদমান ইসলামও। ৫১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এ ছাড়া মেহেদি মারুফ ৩৮, ইলিয়াস সানী ৩৫, সৈকত আলী ৩৪ রান করেন। দিনের শেষ পর্যন্ত মার্শালের সঙ্গে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন জাবিদ হাসান।
এদিকে ঢাকা মেট্রোর ৬ উইকেটের মধ্যে ৫টি উইকেটই নিয়েছেন চট্টগ্রামের লেগ স্পিনার নূর হোসেন। ২২ ওভারে ৮০ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। এর আগে প্রথম রাউন্ডে মাত্র ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ঢাকা মেট্রোর অপর উইকেটটি নেন শফিউদ্দিন।
রংপুর ২৬৮, লিটন ১৭৫
অন্যদিকে বিকেএসপির-৩ নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয় রংপুর ও বরিশাল বিভাগ।
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ২৬৮ রান সংগ্রহ করে রংপুর বিভাগ। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লিটন কুমার দাস। ১৭৫ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
এদিকে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় রংপুর। সোহাগ গাজীর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তারিক আহমেদ (৮)। দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৯ রান করেন তানভির হায়দার ও লিটন কুমার দাস। ধীর গতিতে ব্যাটিং করা তানভির হায়দার ১৪৮ বলে করেন মাত্র ২৩ রান! এর পর সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এর আগেই সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন কুমার। সেঞ্চুরির পর রংপুরে ইনিংস একাই টেনে নেন লিটন কুমার। বরিশালের বোলারদের বেশ ভালোভাবেই শাসন করেন তিনি।
দলীয় ২২৮ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ১৭৫ রানে করেন। ২৩২ বলে ২৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। নাসুম আহমেদের বলে সালেহ আহমেদ শাওনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। তার বিদায়ের পর মাহমুদুল হাসান ১২ রানে ফিরে আসেন। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি রংপুর। নাঈম ইসলাম ১২ ও ধীমান ঘোষ ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।
বরিশালের হয়ে নাসুম আহমেদ ২টি এবং সোহাগ গাজী ও সালেহ আহমেদ শাওন একটি করে উইকেট নেন।
তুষারের ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে খুলনা
এদিকে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে খুলনা বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগ। ম্যাচটিতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসমান তুষার ইমরান রানের দেখা পেয়েছেন। তার ব্যাটিংয়ে ভর করে রড় সংগ্রহের পথে এগোচ্ছে খুলনা বিভাগ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করেছে খুলনা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান আসে তুষার ইমরানের ব্যাট থেকে। দিন শেষে অবশ্য তিনি অপরাজিত আছেন। ১৭১ বলে ৬টি চারের মারে মূল্যবান এই ইনিংসটি সাজান তিনি।
এদিকে ফিফটির দেখা পেয়েছেন ফর্মে থাকা মেহেদী হাসানও। তবে ৫১ রানের বেশি করতে পারেননি। সাকলাইন সজীবের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে ৭২ বলে ৬টি চারের মারে ৫১ রান করেন তিনি। ওপেনার অমিত মজুমদারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান।
এ ছাড়া ৭৬ বলে ৩৭ রান করেন মো. মিঠুন। ব্যক্তিগত ২ রানের মাথায় রানআউটের শিকার হন নূরুল হাসান। দিন শেষে তুষার ইমরানের সঙ্গে অপরাজিত আছেন জিয়াউর রহমান। ৫৬ বলে ১টি করে চার ও ছক্কার মারে ২১ রান করেন তিনি।
২২ ওভার বল করে ৫৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন সাকলাইন সজীব। আর ৩৯ রান খরচায় ২উইকেট নিয়েছেন ফরহাদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫