ঢাকা: বিশ্বকাপের ১১তম আসরে বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ক্যানবেরার মানুক ওভাল স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে টাইগাররা। এ আসরের প্রথম ম্যাচ হওয়ায় জয় ভিন্ন কিছুই ভাবছেন না লাল-সবুজ জার্সিধারী মাশরাফি বাহিনী।
এরইমধ্যে সিডনি থেকে টাইগার সমর্থকদের অনেকেই পৌঁছে গেছে ক্যানবেরায়। এখানেই বাংলাদেশ দল এবারের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের মিশন শুরু করবে।
আফগানদের বিপক্ষে লড়াইয়ের নামার আগে থেকেই কিছুটা শঙ্কা জাগিয়েছে টাইগারদের প্রস্তুতি ম্যাচের পারর্ফম্যান্স। কিন্তু আশার কথা হলো ক্রিকেটারদের মাথায় আফগানদের বিপক্ষে লড়াই ছাড়া অন্যকিছু মাথায় নেই বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
তবে কি কিছুটা শঙ্কা নেই বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে? গত এশিয়াকাপেই ফতুল্লায় মাশরাফিদের হারিয়ে আফগান রূপকথা লিখেছিল মোহাম্মদ নবীর দল। সে স্মৃতি মনে করেই হয়তো ম্যাচের আগে মানসিক খেলায় জিততে চায়লেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী, সোজা বলে দিলেন তার দলের ওপর নেই কোন। সব চাপই নাকি মাশরাফির দলের ওপর।
পরিসংখ্যান আফগানদের পক্ষে কথা বলছে। কিন্তু ক্রিকেটীয় বাস্তবতা বলে শক্তি এবং সাম্যর্থে আফগানিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন মেইল এগিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
তবে ভয় একটাই, পঁচা শামুকে পা কাটার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশেরও কম নেই। ২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডার শৌখিন ক্রিকেটারদের কাছে হেরে বসেছিল খালেদ মাসুদ পাইলটের দল। আবার গত বছর ওয়ার্ল্ড টি-টুয়েন্টিতে হংকংয়ের মতো দলের কাছে হেরে বসেছিল টাইগাররা।
কিন্তু এবার ইতিহাস বদলাতে চায় মাশরাফি, তামিম, সাকিব মুশফিকরা। ঠাণ্ডা মাথায় জয় তুলে এনে বিশ্বকাপের শুভ সূচনাটাই এখন মূল লক্ষ্য টাইগরাদের।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ দলের চার পেসার বিশেষ অনুশীলন করেছেন। আর তার সঙ্গে ছিলেন বাহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দলের বোলিং সক্ষমতা কাজে লাগানো জন্যে মুমিনুল হকের জায়গা খেলান হতে পারে সৌম্য সরকারকে।
অন্যদিকে আফগানিস্তানদের সাম্যর্থ যাই হোক না কেন, কোন কিছু তোয়াক্কা না করেই খেলার ধরণটা তাদের সাফল্য এনে দিতে পারে। শাপুর জাদরানের দৌলত জাদরানদের নিয়ে গড়া পেস অ্যাটাক তাদের মূল ভরসা।
বাংলাদেশের জন্যে ম্যাচটি শুধু বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ নয়, এ বছরের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচও বটে। তাহলে জয় দিয়েই শুরু হোক বছরটা।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫