ঢাকা: প্রতি ম্যাচেই ইনিংস ব্যবধানে জয়-অলিখিত এক নিয়মই হয়ে গিয়েছিল ঢাকা বিভাগের জন্য। জাতীয় ক্রিকেট লিগে টানা তিন ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে জয় পাওয়ার তকমা লাগে দলটির গায়ে।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ইনিংস হার এড়াতে আগামিকাল ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ দিনে ২১৫ রান করতে হবে ঢাকা বিভাগকে। হাতে আছে আট উইকেট।
মঙ্গলবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে ফলো-অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে ঢাকা বিভাগ। দিন শেষে তারা তুলতে পেরেছে দুই উইকেটে ৮৩ রান। হারাতে হয়েছে রনি তালুকদার (৪১) ও আব্দুল মজিদের (১৯) উইকেট।
রকিবুল হাসান ১৫ ও নাসিরউদ্দিন ৭ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন।
সিলেটের পক্ষে দুটি উইকেটই নিয়েছেন রাহাতুল ফেরদৌস।
উল্লেখ্য, রাজিন সালেহ ও অলক কাপালির জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৫০০ রান করে সিলেট বিভাগ। জবাবে ২০২ রানেই থেমে যায় ঢাকা বিভাগের প্রথম ইনিংস।
ড্রয়ের পথে রংপুর-বরিশাল ম্যাচ
রংপুরের দেয়া ৫১৮ রানের জবাবে চার উইকেটে ৪১৬ রান সংগ্রহ করে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বরিশাল বিভাগ। বিকেএসপির তিন নম্বর গ্রাউন্ডে আগের দিনের দুই উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করে বরিশাল। দলীয় ১৫৫ রানে তৃতীয় উইকেটে ফজলে রাব্বিকে (৮৫) হারায় বরিশাল। এরপর দলীয় ১৯৬ রানে সজিবকে (৬০) সাজঘরে পাঠান সঞ্জিত সাহা।
চার উইকেট পতনের পর ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান মোসাদ্দেক হোসেন ও আল আমিন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে এরা যোগ করেন অবিচ্ছিন্ন ২২০ রান। মোসাদ্দেক হোসেন ১২৫ ও আল আমিন ৯৬ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন।
দুটি উইকেট নিয়েছেন সঞ্জিত সাহা।
লিটন কুমার ও নাঈম ইসলামের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৫১৮ রান করেছিল রংপুর বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫