ঢাকা: ‘দল হিসেবে ফেভারিট ছিলো বাংলাদেশই। তবে গেল এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে হারানোর গৌরবটি ছিলো আফগানিস্তানের।
আনন্দের ঢেউ তখন অস্ট্রেলিয়ার নিভৃত শহর ক্যানবেরা থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সার বিশ্বে। বিশ্বের কোটি কোটি বাংলাদেশির প্রথম স্বপ্ন পূরণ হলো। মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরলো বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা।
অগ্রভাগে থেকে বেশ ভালোই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বনানীর আসিম ইসলাম যেমনটি বলছেন, শুরু থেকেই দেখলাম মাশরাফি খুব দক্ষভাবে দল পরিচালনায় ছিলেন। যখন যেমনটি দরকার ছিলো তা-ই করেছেন। নিজে উইকেট নিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে উইকেট নিয়েছেন।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের প্রশংসা শুধু টিভি কমেন্ট্রি বক্সে নয়, এটা বেশ ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও।
রেজা রহীম নামে স্টামফোড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী তার ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘সাকিব পারবে এটা জানতাম। বার বার লুজ বল দিয়ে ব্যাটসম্যানকে উপরে তুলে ছক্কার লোভ দেখিয়ে উইকেট নিয়ে নিলেন সহজেই।
আর ১৯ বছরের নবাগত তাসকিন নিজের তারুণ শক্তির যোগ্যতা দেখালেন তার প্রথম বিশ্বকাপে। নবম উইকেটের পতন ঘটিয়ে জয়ের দারপ্রান্তে তখন চলে যায় বাংলাদেশ। আর দর্শক তখন উল্লাস উন্মাদনায় মেতে উঠেন। ক্যানাবেরায় দশ হাজার দশকের বেশিরভাগ বাংলাদেশি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থক।
জেতার পরপরই উল্লাসে মেতেছেন মিরপুর কাজীপাড়ার বাসিন্দা আয়মান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক জয় আশা করেছিলাম সেটা হওয়াতে অনেক বেশি ভালো লাগছে’।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫