ঢাকা: ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর ক্রিকেট বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড অনুষ্ঠিত এবারের আসরটি বিশ্বকাপের ১১তম আসর।
তবে বিশ্বকাপে অনেক ম্যাচ হয়েছে যেখানে দর্শক ব্যাটসম্যানদের পরিবর্তে বোলারদের কারিকুরিও দেখেছে। যা স্থান পেয়েছে বিশ্বকাপের সর্বনিম্ন স্কোরে। এমন ১০টি বিগত বিশ্বকাপের সর্বনিম্ন স্কোর আজ পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো।
কানাডা: ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্গার বিপক্ষে মাত্র ৩৬ রানেই শেষ হয় কানাডার ইনিংস। আর এটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ ইতহাসে সর্বনিম্ন স্কোর। সে ম্যাচে প্রাবাত নিশাঙ্কা ও চামিন্দা ভাস গুঁড়িয়ে দেয় কানডার ইনিংস। নিশাঙ্কা চারটি ও ভাস নেন তিনটি উইকেট।
কানাডা: ক্রিকেট বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরটিও কানাডার দখলে। ১৯৭৯ বিশ্বকাপে ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ রানে গুটিয়ে যায় কানাডা। ২০০৩ এর আগে এটিই ছিল বিশ্বকাপের সর্বনিম্ন স্কোর।
নামিবিয়া: ২০০৩ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে পচফ্রস্টমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কানাডার সমান ৪৫ রানে শেষ হয় নামিবিয়ার ইনিংস। ম্যাচে একাই সাত উইকেট নেন অজি গ্রেট গ্লেন ম্যাকগ্রা।
বাংলাদেশ: ২০১১ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে লক্ষ-কোটি ভক্তের সমর্থন নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তবে সমর্থকদের কাঁদিয়ে মাত্র ৫৮ রানেই নিজেদের ইনিংস শেষ করে দলটি।
স্কটল্যান্ড: ১৯৯৯ যুক্তরাজ্য বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৬৮ রানেই নিজেদের ১০ উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। ম্যাচে দু’জন ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি।
কেনিয়া: গত বিশ্বকাপে ভারতের চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের সামনে ৬৯ রানে শেষ হয় কেনিয়ার ইনিংস। গ্রুপ পর্বের এ ম্যাচটিতে পরে ব্যাটিং করে ১০ উইকেটের জয় পায় কিউইরা।
পাকিস্তান: বড় দলগুলোর মধ্যে বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে মাত্র ৭৪ রানেই শেষে হয় পাকদের ইনিংস। তবে দলটির কপাল ভালো বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যাক্ত হয়।
এর পরের নিম্ন স্কোর গুলো হচ্ছে আয়ারল্যান্ড, বাংলাদেশ ও বারমুডার দখলে। দলগুলোর স্কোর যথাক্রমে ৭৭, ৭৮ ও ৭৮।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫