ঢাকা: ‘কী হতে কী হয়ে গেল!’ স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক দাঁত খুঁটতে খুঁটতে এখন এই কথাটাই ভাববেন। ৯৭ রানেই প্রতিপক্ষের ৭ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর যেখানে তিনি বিশাল ব্যবধানে জয়ের হাসির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সেখানে ম্যাচ শেষে উল্টো প্রতিপক্ষের লোয়ার অর্ডারদের ‘নির্মমতায়’ নাকের পানি- চোখের পানি একসঙ্গে ঝরাতে হলো তাকে!
গ্রুপ পর্বের ‘অবহেলিত’ এ ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে ২১০ রান সংগ্রহের পর স্কটিশদের বোলিংয়ের শুরুটাও ভালো হলে জয়ের ব্যবধানই যেন গুনতে থাকেন সমর্থকরা।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টায় ডানেডিনে শুরু হওয়া এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে আফগানদের ২১১ রানের টার্গেট বেধে দেয় স্কটল্যান্ড। ইনিংসে ৫০ ওভার খেললেও সবক’টি উইকেটই খোয়াতে হয় স্কটিশদের।
তাদের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই কোনো রান সংগ্রহ ছাড়াই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ম্যাকলয়েড। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে খোয়াতে দলীয় একশ’ না পেরোতেই স্কোরবোর্ড থেকে পাঁচ ব্যাটসম্যান হাওয়া হয়ে যান। সাজঘরে ফেরেন গার্ডিনার, কোয়েটজার, মাচেন ও মমসেন। এদের মধ্যে কেবল মমসেন (২৩) ও মাচানের (৩১) চর্তুথ উইকেট জুটি ৫৩ রান তোলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু দলীয় ১৪৪ রানে এ দুই ব্যাটসম্যানও সাজঘরে ফিরে গেলে স্কটিশদের স্কোর দেড়শ’ পেরোবে কিনা- তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দেয়।
এসময় দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হন দুই টেল-এন্ডার। নবম ও দশম স্থানে নামা হক ও ইভানের ৬২ রানের জুটি স্কটিশদের সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছায়, যা স্কটিশদের ইনিংসেরও সর্বোচ্চ জুটি। আউট হওয়ার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন হক। আর ইভান করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮।
আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন শাপুর জাদরান। এছাড়া, তিনউইকেট নেন দৌলত জাদরান।
জয়ের জন্য ২১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে আফগানরা। তবে অষ্টম ওভারের তৃতীয় ও শেষ বলে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপর্যয়ে পড়ে দলটি, তখন তাদের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৪৬ রান।
ওপেনার নওরোজ মঙ্গলের বিদায়ের পর তৃতীয় স্থানে ব্যাট করতে নামা স্তানিকজাইও ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন সামিউল্লাহ সেনওয়ারি। এই সেনওয়ারির হাত ধরেই অনেক দূর এগোয় আফগান ব্যাটিংয়ের গাড়ি। দলকে জয়ের পথ দেখিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে সেনওয়ারি খেলেন ৯৬ রানের ঝলমলে ইনিংস, মাঝে তাকে সঙ্গ দিয়ে যান ওপেনার জাভেদ আহমাদি (৫১)। কিন্তু সেনওয়ারি যখন এক প্রান্তে আগলে রাখছিলেন তখন অপর প্রান্তে এসেই ফিরে যাচ্ছিরেন মোহাম্মদ নবী, আফসার জাজাই, নাজিবুল্লাহ জাদরান, গুলবাদিন নবী, দৌলত জাদরানরা।
শেষ পর্যন্ত শতক বঞ্চিত হয়ে সেনওয়ারিও প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ফের শঙ্কায় পড়ে আফগানরা। তবে স্কটিশদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মুখেও সতর্ক ব্যাটিং করে দলকে নিরাপদে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন হামিদ হাসান (১৫) ও শাপুর জাদরান (১২)।
স্কটিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নন আরডি বেরিংটন। এছাড়া দু’টি করে উইকেট নেন ডেভি ও ইভানস। তবে, গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি (সারওয়ানি) নেন হক।
দুর্দান্ত ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন সামিউল্লাহ সেনওয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫/আপডেট ১২৪০ ঘণ্টা,
** স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান
** জয়ের সুবাস পাচ্ছে স্কটিশরা
** এবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে আফগানিস্তান
** সেনওয়ারির নবম অর্ধশতক
** আহমাদির অর্ধশতক, এগোচ্ছে আফগানিস্তান
** এক ওভারে দুই উইকেট নেই আফগানদের
** ভালো শুরু আফগান ওপেনারদের
** জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে আফগানরা
** টেলেন্ডারদের নৈপুণ্যে স্কটিশদের দু’শ রানের পুঁজি
** দলীয় সংগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা স্কটিশ টেল এন্ডারদের
** কিপারের নৈপুণ্যে আফগানদের ষষ্ঠ আঘাত
** একশ না পেরুতেই সাজঘরে পাঁচ স্কটিশ ব্যাটসম্যান
** ব্যাটিং বিপর্যয়ে স্কটল্যান্ড
** শুরুতেই স্কটিশ শিবিরে আফগানদের আঘাত
** ব্যাটিংয়ে দুই স্কটিশ ওপেনার
** টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানের