ঢাকা: মিসের মহড়া ‘জোরদার’ বাংলাদেশের! শ্রীলংকার বিপক্ষে টস হেরে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশ যেন মিস করছেই! ক্যাম মিস, ফিল্ডিং মিস! ইস! শুধুই মিস।
ম্যাচের ৪১ ওভার ১ বলের কথা।
এবার তাসকিন আহমেদ। নিজেই বল করছিলেন। দ্রুত গতির বল। ৩২ ওভারের ৬ নম্বর বলটি করলেন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারাকে। তার ব্যাটে লেগে ফিরতি বলে উঠলো ক্যাচ। তবে পাকরাও করতে পারলেন না তাসকিন। ফেলে দিলেন। যেন মিসের মহড়া বাংলাদেশের।
তার আগে মুশফিকুর রহিম। ইস! মিস তিনিও!
ম্যাচের ২১ ওভার ৫ বলে সাব্বির রহমানের লেগ স্পিন ঘূর্ণিতে লাহিরু থিরামান্নের ব্যাট ফসকে বল উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে। তাও সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। হাত থেকে পড়ে গেলো বল! আবারও বেঁচে যান লাহিরু থিরামান্নে।
এরআগে, ১৭তম ওভারে মাশরাফি বিন মর্তুজার একটি বল উইকেটকিপার ও ফাস্ট স্লিপের মধ্য দিয়ে দুজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে যায়। এতে নষ্ট হয় আরেকটি সুযোগ।
এরও আগে ম্যাচের প্রথম ওভারেই আঘাত হানতে চেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু সে সুযোগ যেন হেলায় ঠেলে দেন এনামুল হক বিজয়। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই মাশরাফির ছোঁড়া অফ স্ট্যাম্পের দুর্দান্ত বলটি লাহিরু থিরামান্নের ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে বিজয়ের হাতে গেলেও ধরে রাখতে পারেননি তিনি।
ধরার আগেই উদযাপন শুরুর উত্তেজনায় বিজয়ের হাত থেকে খসে পড়ে সহজ ক্যাচটি। বিজয়ের ভুলে প্রাথমিক বিজয়বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। তার হাত থেকে বলটি খসে পড়তেই ধারাভাষ্যকারের আসনে থাকা সিদ্ধার্থ মোঙ্গা ও সঞ্জয় মুরারি প্রায় একসঙ্গেই বলে ওঠেন, ‘পুওর ক্রিকেট!’
এছাড়া ম্যাচের ২৯ ওভার ৫ বলে ওই আনামুল বিজয়েরই হাত থেকে বল ছুটে যায়। তবে ক্যাচ নয়, এবার হাত ফসলে সোজা বাউন্ডারি।
তবে কাঙ্ক্ষিত ব্রেক-থ্রু এনে দেন রুবেল হোসেন। থিরিমান্নেকে থার্ডম্যানে তাসকিনের তালুবন্দি করে ফেরালেন রুবেল। তার রান ৫২। ম্যাচের ২৪.৩ ওভারে প্রথম উইকেটের পতন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫