ঢাকা: ব্রিসবেনে পাকিস্তানের জন্য কী অপেক্ষা করছে? জিম্বাবুয়ের সঙ্গে হার মানেই প্লেনের টিকেট বুকিং। কারণ পরের ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে।
সমর্থক আর পাকিস্তানের ক্রিকেট কিংবদন্তিরা ইতোমধ্যে শুরু করেছেন সমালোচনা। ভারতের সঙ্গে হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে উড়ে গেছে পাকিস্তান। এখন জিম্বাবুয়ের মতো দলের কাছেও হারার শঙ্কায় মিসবাহর দল।
তবে দলটা পাকিস্তান বলেই হিসেবের খাতা থেকে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। ৯২’র বিশ্বকাপে খাদের কিনারা থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব বিভাগেই উন্নতি করলে কেবল জয়ের দেখা পেতে পারে পাকিস্তান।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জ্বলে উঠেছিলেন শোয়েব মাকসুদ এবং উমর আকমল। তবে ইউনিস খানের ব্যাটের দিকেও তাকিয়ে থাকবে পাকিস্তান। ব্রিসবেনের দ্রুতগতির উইকেট থেকেও সহায়তা পাবেন পাকিস্তানের পেসাররা। সে সুবিধা কাজে লাগাবেন সোহাইল খান, ওয়াহাব রিয়াজরা।
আগের ম্যাচে ক্যারিবীয়দের কাছে পাত্তা না পেলেও পাকিস্তানকে হারানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ে। যদিও কাজটি মোটেও সহজ নয়। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ব্র্যান্ডন টেইলররা সময়মতো জ্বলে উঠলে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখতেই পারে জিম্বাবুয়ে।
তবে পরিসংখ্যান কথা বলছে পাকিস্তানের হয়ে। এর আগে কোনো আসরেই টানা তিন ম্যাচ হারেনি পাকিস্তান। পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের এ পর্যন্ত ৪৭ বার মুখোমুখিতে মাত্র তিনবার শেষ হাসি হেসেছে আফ্রিকার দলটি।
পরিসংখ্যান যাই বলুক, নতুন ইতিহাস লিখতে চায় এলটন চিঙ্গাম্বুরার দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৫