ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘কাল রিয়াদ বলেছে, আম্মু দোয়া কোরো’

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৫
‘কাল রিয়াদ বলেছে, আম্মু দোয়া কোরো’ ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

ময়মনসিংহ: ‘রোববার রাতে একবার কথা হয়েছিল রিয়াদের সঙ্গে। কাল রিয়াদ বলেছে, আম্মু দোয়া কোরো।

দৌড়ের উপরে আছি। যেন ইংল্যান্ডের সঙ্গে জিততে পারি। ভালো খেলতে পারি। ’

‘রিয়াদের ব্যাটে হাসছে গোটা বাংলাদেশ, কেমন লাগছে?’-এ প্রশ্ন করতেই একগাল হাসি দিয়ে রিয়াদের মা আরাফাত বেগম এসব কথা জানান বাংলানিউজকে।

তিনি আরও বলেন, আমি খুব খুশি। ছেলে সেঞ্চুরি করেছে। বাংলাদেশ জিতেছে। গোটা দেশকে আনন্দের উপলক্ষ তৈরি করে দিয়েছে। আমাদের পাড়া-প্রতিবেশীরা জেতার পরপরই আমাদের এখানে ছুটে আসে। তারা ডাক ঢোল বাজাচ্ছে। এখন কী যে আনন্দ লাগছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।

ময়মনসিংহের ছেলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কীর্তিতে ইংলিশদের বধ করার পর উচ্ছ্বাস-আনন্দের ফল্গুধারা বইছে ময়মনসিংহে।

দলের প্রয়োজনে অনবদ্য শতক হাঁকিয়ে রিয়াদের জ্বলে ওঠায় তার নিজ জেলা ময়মনসিংহের লাখো ক্রীড়ামোদী মানুষের মাঝে আনন্দের  স্রোত বইয়ে দিয়েছে।

সোমবার (০৯ মার্চ) বিকেলে রিয়াদের ময়মনসিংহ শহরের সেহড়া হিন্দুপল্লী রোডের বাসার সামনে স্থানীয় ক্রীড়ামোদী নারী-পুরুষ মিলিত হয়ে গলা ফাটিয়ে উল্লাস করেন। এছাড়াও শহরের প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই হয় আনন্দ মিছিল।

ভিড় ঠেলে রিয়াদের বাসার গেটে কড়া নাড়তেই হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন রিয়াদের বাবা ওবায়েদ উল্লাহ। ছেলের অসাধারণ সাফল্যে তার আনন্দের যেন সীমা নেই। পাশের কক্ষ থেকে ডেকে আনেন রিয়াদের মমতাময়ী মা আরাফাত বেগমকে। ড্রয়িং রুমে বসে তারা কথা বললেন বাংলানিউজের সঙ্গে।

রিয়াদের বাবা জানান, সোমবার সকাল থেকেই বাসায় টিভি সেটের সামনে বসে রিয়াদের বড় ভাই আহসান উল্লাহ, নাতি ফারহান রাইয়ানসহ সবাই একসঙ্গে খেলা দেখেছেন। রিয়াদের নজরকাড়া পারফরম্যান্সে দেশের কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে তারাও উ”ছ¡সিত-উল্লসিত।


আমার ছেলে দারুণ ইনিংস খেলেছে। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছে। ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। এমন ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক। বাংলাদেশ ফাইনাল খেলুক। রিয়াদ আরো ভালো করুক।

আলাপচারিতার সময়টাতে আবারো চলে এলেন রিয়াদের মা আরাফাত বেগম। আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে বললেন, সাংবাদিক ভাই, রিয়াদ ফোন করেছে। তখন ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিট।

রিয়াদের বড় ভাই আহসান উল্লাহর মুঠোফোনে কল এসেছে। সংক্ষিপ্ত আলাপ হলো মা, বাবা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে। রিয়াদ দোয়া-চাইলেন মা-বাবার কাছে।

রিয়াদের বড় ভাই আহসান উল্লাহ বলেন, রিয়াদ ফোন করেই বললো ভাইয়া কী খবর? আমি বললাম আমরা সবাই খুশি। অনেক আনন্দ হচ্ছে।

রিয়াদের বাসার সামনে তখনো উচ্ছ্বাস আনন্দে মাতোয়ারা নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর-বৃদ্ধরা। তাদের মাঝখান থেকে কথা হল আহমেদুল্লাহ অনিকের সঙ্গে।
 তিনি বলেন, দুঃসময় জয় করে ভালো সময়ে ফেরার যোগ্যতা একমাত্র মাহমুদুল্লাহরই রয়েছে।

ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ও শহরের ঐতিহ্যবাহী পণ্ডিতপাড়া ক্লাবের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ময়মনসিংহের গর্ব মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাকে অভিনন্দন বিশ্বকে টাইগারদের গর্জন শুনিয়ে দেবার জন্য।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা মার্চ ০৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।