ময়মনসিংহ: ‘রিয়াদের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে আমি অনেক খুশি। কিন্তু টিমের জন্য কাজে লাগলে এ সেঞ্চুরিটা পূর্ণতা পেতো।
ময়মনসিংহের ছেলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিশ্বকাপে পর পর দু’ম্যাচে সেঞ্চুরির প্রতিক্রিয়ায় এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তার বাবা ওবায়েদ উল্লাহ।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রিয়াদের শহরের সেহড়া হিন্দুপল্লী রোডের বাসায় গেলে বড় ভাই আহসান উল্লাহর মাধ্যমে মুঠোফোনে বাংলানিউজের আলাপ হয় তার বাবার সঙ্গে।
রিয়াদের বড় ভাই আহসান উল্লাহ বলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টিম স্পিরিট যথেষ্ট ছিল। কিন্তু জেতার জন্য আরও ২০-২৫ রান হলে ভালো হতো। এরপরেও রিয়াদ ইতিহাস গড়েছে। ময়মনসিংহবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছে।
আলাপ হয় রিয়াদের ভাতিজা ফারহান রাইয়ানের সঙ্গেও। গালভরা হাসি দিয়ে রাইয়ান বলেন, চাচ্চুর সেঞ্চুরির আগে খুব ভয় হচ্ছিল। কিন্তু চাচ্চু যখন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি মেরে দিলো তখন দাদার সঙ্গে আনন্দে চিৎকার করেছি। অনেক মজা করেছি।
আলাপচারিতায় জানা গেল, শুক্রবার সকাল থেকেই বাসায় টিভি সেটের সামনে বসে রিয়াদের বাবা, মা ও ভাইসহ বাড়ির অন্যরা মিলে খেলা দেখেছেন। রিয়াদের দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরিতে তারা উল্লাসও করেছেন।
মাহামুদুল্লাহর বড় ভাই আহসান উল্লাহ জানান, কোয়ার্টার ফাইনালের আগে বাংলাদেশ এ ম্যাচে জিতলে দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসের মাত্রা খুব ভালো থাকতো। এরপরও আমাদের বিশ্বাস সামনের ম্যাচগুলোতেও বাংলাদেশ আরও ভাল করবে।
এদিকে, রিয়াদের সেঞ্চুরির পর শুক্রবার দুপুরের দিকে শহরের হিন্দুপল্লী রোড এলাকাতেই আনন্দ মিছিল বের হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে হেরে যাওয়ায় প্রস্তুতি থাকা সত্তে¡ও আর বড়রকমের আনন্দ মিছিল হয়নি বলে জানান রিয়াদের পাড়ার ছোট ভাইয়েরা।
রিয়াদের এলাকার ছোট রাব্বী ও অন্তর বলেন, সকাল থেকেই পুরো খেলা দেখেছি। রিয়াদ ভাই সেঞ্চুরি করেছেন, অনেক ভাল লাগছে। আনন্দ-উল্লাস করেছি, ভারতের সঙ্গেও রিয়াদ ভাই সেঞ্চুরি করবেন, এ প্রত্যাশা আমাদের।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৫