ঢাকা: দলীয় ৩০ রানের মাথায় অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম উইকেট হারায়। অ্যারন ফিঞ্চ বিদায় নিলেও ব্যাটিং ক্রিজে রয়েছেন আরেক ওপেনার মাইকেল ক্লার্ক এবং তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা শেন ওয়াটসন।
৭ ওভার শেষে অজিদের সংগ্রহ এক উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান।
চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ১৩১ রানের ছোট টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামেন মাইকেল ক্লার্ক এবং অ্যারন ফিঞ্চ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে আউট হন ফিঞ্চ। ১০ বল থেকে ফিঞ্চ তিন চার আর এক ছয়ে ২০ রান করে টেইলরের বলে কোলম্যানের তালুবন্দি হন।
এর আগে বিশ্বমঞ্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয় স্কটল্যান্ড। ২৫.৪ ওভার শেষে স্কটল্যান্ড সবক’টি উইকেট হারিয়ে তোলে ১৩০ রান (এর আগে ছিল ১৩১ রান)। স্কটিশদের ব্যাটিং লাইনআপ মূলত অজি পেস বোলাররাই ভেঙে দেন।
অজিদের হয়ে মিচেল স্টার্ক ৪.৪ ওভার বল করে ১৪ রানের বিনিময়ে নেন ৪টি উইকেট। আর কামিন্স ৭ ওভার বল করে ৪২ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট।
হোবার্টের বেলরিভ ওভালে চলতি ক্রিকেট বিশ্বকাপের পুল ‘এ’র শেষ লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় ওয়ানডেতে এক নম্বর দল অস্ট্রেলিয়া ও আইসিসির সহযোগী সদস্য স্কটল্যান্ড। টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অজি দলপতি মাইকেল ক্লার্ক।
স্কটিশদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে আসেন ক্যালাম ম্যাকলউড এবং কাইল কোয়েটজার। আর অজিদের হয়ে বোলিং সূচনা করতে আসেন মিচেল স্টার্ক। প্রথম ওভার থেকে স্কটিশরা কোনো রান তুলতে পারেননি।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট খোয়ায় স্কটল্যান্ড। স্কটিশদের দলীয় ৮ রানের মাথায় ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মিচেল স্টার্ক অজিদের প্রথম উইকেট এনে দেন। ১১ বলে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন কাইল কোয়েটজার।
দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো স্কটিশরা দলীয় ৩৬ রানের মাথায় নিজেদের দ্বিতীয় উইকেট খোয়ায়। সপ্তম ওভারে মিচেল স্টার্কের দ্বিতীয় শিকারে সাজঘরে ফেরেন আরেক স্কটিশ ওপেনার ক্যালাম ম্যাকলউড। ডেভিড ওয়ার্নারের তালুবন্তি হয়ে আউট হওয়ার আগে তিনি ১৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ২২ রান করেন।
পরের ওভারে স্কটিশ দলপতি মমসেনকে ফেরান ওয়াটসন। শুন্য রানেই স্টার্কের তালুবন্দি হন মমসেন।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় স্কটিশরা। ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলিংকে সামলাতে হিমশিম খায় স্কটল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের ১১তম ওভারে মিচেল জনসনের বলে মাইকেল ক্লার্কের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন কোলম্যান (শুন্য রানে)। পরের ওভারে ম্যাক্সওয়েল ফেরান বেরিংটনকে।
১৭তম ওভারে ম্যাট মাচানকে ফেরান প্যাট কামিন্স। মাচান আউট হওয়ার আগে করেন ৪০ রান। ৩৫ বলে তার সাজানো ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার। একই ওভারে ম্যাথু ক্রসকেও ফেরান কামিন্স। আর দলীয় ৯৫ রানের মাথায় রব টেইলরকে ফিরিয়ে স্কটিশদের অষ্টম উইকেটের পতন ঘটান কামিন্স।
দলীয় ৯৫ রানে আট উইকেট হারানো স্কটল্যান্ড নিজেদের সামলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়। ব্যাটিং ক্রিজে জশ ডেভি এবং মিচেল লেস্ক মিলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন। এরপরই বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ থাকে।
তবে, বৃষ্টি থেমে গেলে আবারো বল গড়ায় মাঠে। আর মাত্র চার বল করেই স্কটিশদের লেজ মুড়ে দেন স্টার্ক। শেষ চার বলের দুটিতেই স্টার্ক ফেরান ২৬ রান করা জশ ডেভিকে এবং শুন্য রান করা ওয়ার্ডলকে। ১১ বলে চারটি চার হাঁকিয়ে ২৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মিচেল লেস্ক।
এর আগে, স্কটিশরা চারবার মুখোমুখি হয় অজিদের। প্রতিটি ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: মাইকেল ক্লার্ক (অধিনায়ক), অ্যারন ফিঞ্চ, ব্রাড হাডিন, মিচেল জনসন, শেন ওয়াটসন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্স ও জেমস ফকনার।
স্কটল্যান্ড একাদশ: ক্যালাম ম্যাকলউড, কাইল কোয়েটজার, ফ্রেডি কোলম্যান, ম্যাট মাচান, প্রেস্টন মমসেন (অধিনায়ক), রিচি বেরিংটন, ম্যাথু ক্রস (উইকেটরক্ষক), জশ ডেভি, মিচেল লেস্ক, ওয়ার্ডল ও রব টেইলর।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, ১৪ মার্চ ২০১৫
** অজিদের সামনে টার্গেট ১৩১ রান
** বৃষ্টি হানায় স্কটিশ-অজি ম্যাচ বন্ধ
** সামলে উঠার চেষ্টায় স্কটিশরা
** অজিদের বোলিং তোপে কুপোকাত স্কটিশরা
** টপঅর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান সাজঘরে
** নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছে স্কটিশরা
** বিপাকে স্কটিশ ব্যাটিং লাইনআপ
** স্কটিশদের প্রথম উইকেটের পতন
** ব্যাটিংয়ে নেমেছেন স্কটিশ ওপেনাররা
** টস জিতে ফিল্ডিংয়ে অজিরা