ঢাকা: খুলনা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ বাঁচিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম-ইমরুলের ৩১২ রানের ওপেনিং জুটিতে পাঁচ দিন খেলে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ ‘ড্র’ করে বাংলাদেশ।
খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস থেকে দলের ব্যাটসম্যানদের প্রেরণা খুঁজতে বলেছেন সাকিব আল হাসান। শুক্রবার (০৮ মে) মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে সাকিব বলেন, ‘লাস্ট ইনিংসটা থেকে আমরা উৎসাহ ও আত্নবিশ্বাস অর্জন করতে পারি। ওরকম যদি কিছু হয়! বিশেষ করে টপঅর্ডারের তিন-চারজনের মধ্যে থেকে যদি দেড়’শ কিংবা দুই’শ রানের একটা পার্টনারশিপ হয়, তাতে আমাদের ড্রেসিংরুমের চেহারা বদলে যাবে। তাছাড়া ওরাও (পাকিস্তান) তখন চাপে থাকবে। ’
খুলনা টেস্টের দৃষ্টান্ত টানলেও মিরপুরের উইকেটে এটা সহজ হবে না বলেও জানালেন সাকিব, ‘দুই দিক থেকেই আমাদের জন্য বর্তমান অবস্থাটা খুব কঠিন। একদিকে রান, একদিকে সময়। উইকেটটাও খুলনার মতো নয়। এখানে বল আপস-অ্যান্ড ডাউনস হয়। ব্যাট করা খুব কঠিন। ম্যাচের যে গতিবেগ তাতে এত রান অতিক্রম করা কঠিন। কারণ, এত রান আগে কখনো চেজ হয় নি। দুইদিন যদি আমরা না খেলতে পারি স্বাভাবিভাবে ড্রয়ের সুযোগও নেই। ’
পাকিস্তানের ৫৫৭ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান তোলে বাংলাদেশ। শুক্রবার তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। সাকিবের আক্রমণাত্নক ইনিংসে (৮৯) ২০৩ রান স্কোর বোর্ডে জমা করে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনের ব্যাটিং প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমরা জানতাম আজকের সকালটা কঠিন হবে আমাদের জন্যে। যেহেতু পাঁচ উইকেট ছিল না অল্প রানে। ওরা (পাকিস্তানিরা) সবাই খুব এনার্জেটিক ছিল। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ন ছিল প্রথম এক ঘন্টা। আমরা যদি ভালোভাবে প্রতিরোধ করতে পারতাম, এক উইকেট কিংবা যদি উইকেট না পরতো তাহলে খুব ভালো একটা সুযোগ আসতো। দুর্ভাগ্যজনক যে সেটা হয় নি। টেস্ট ম্যাচে একটা সেশন কিংবা একটা-দু’টা স্পেল খেলাটা চেঞ্জ করে দেয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ০৮ মে, ২০১৫
এসকে/আরএম