ঢাকা: টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজেও পাকিস্তানের শুভ সূচনা। হাই স্কোরিং ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৪১ রানে হারিয়েছে আজহার-হাফিজরা।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়েকে ৩৭৬ রানের বিশাল টার্গেট ছুঁড়ে দেয় পাকিস্তান।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৬৫ রানের মধ্যেই জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ভুসি সিবান্দা (২৩) ও সিকান্দার রাজা (৩৬) প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও এলটন চিগুম্বুরা ১২৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে চাপ সামাল দেন।
দলীয় ১৮৯ রানের মাথায় মালিকের বলে হাম্মাদ আজমের ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন মাসাকাদজা (৭৩)। অপর প্রান্তে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ান শতক তুলে নেন চিগুম্বুরা। পরে ব্যক্তিগত ১১৭ রানে ওয়াহাবের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। এর মধ্য দিয়েই জিম্বাবুয়ের জয়ের সম্ভাবনাটা ফিঁকে হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তারা পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান করতে সমর্থ হয়। রিচমন্ড মুতুম্বাবামি ও প্রসপার উতসেয়া দু’জনই ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের হয়ে ওয়াহাব ১০ ওভার বল করে ৪.৭০ ইকোনমি রেটে তিনটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে তিন উইকেটে ৩৭৫ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় পাকিস্তান। ওপেনিং জুটিতেই ১৭০ রান তোলেন মোহাম্মদ হাফিজ (৮৬) ও অধিনায়ক আজহার আলী (৭৯)। হারিস সোহেলের সঙ্গে ২০১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ইনিংসের শেষ বলে ব্যক্তিগত ১১২ রানে আউট হন মালিক।
এ ম্যাচে ৭০ বল মোকাবেলায় ১০টি চার ও দুই ছক্কার সাহায্যে ক্যারিয়ারের দ্রুততম সেঞ্চুরি আদায় করে নেন মালিক। এটি তার অষ্টম ওয়ানডে শতক।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ডানহাতি স্পিনার উতসেয়া দু’টি উইকেট লাভ করেন।
উল্লেখ্য, ২৯ মে লাহোরে দু’দলের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘন্টা, মে ২৭, ২০১৫
আরএম