ঢাকা: অবশেষে অফিসিয়ালি স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি নোটে স্বাক্ষর করেছেন পাকিস্তানের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক সালমান বাট। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান এমনটি নিশ্চিত করেছেন।
লর্ডসে ২০১০ সালের আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে বাটসহ পাকিস্তানের দুই পেসার মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফকে সব ধরণের ক্রিকেটে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। ইতোমধ্যেই আইসিসির অনুমতিক্রমে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন আমির।
কিন্তু, স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা এতদিন স্বীকার করেননি বাট। সম্প্রতি পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি তিনি নিজের মুখে সরাসরি স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করেন, তবে তাকে দশ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। চলতি বছরের সেপ্টম্বরে তার পূর্ব নির্ধারিত পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে।
শাহরিয়ার খান বলেন, ‘বাট এতদিন নির্দিষ্ট করে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। আমরা তাকে একটি স্টেটমেন্ট দিলে সে অফিসিয়ালি নিজের অপরাধ স্বীকার করে তাতে স্বাক্ষর করে। এই বিবৃতিটি আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন ও সেফটি ইউনিটে পাঠানো হবে। ’
বাট বলেন, ‘আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে চাই। এজন্যই স্বীকারোক্তি লেটারে স্বাক্ষর করেছি। ইতোমধ্যেই কয়েকটি দল আগামী মৌসুমে তাদের হয়ে খেলার জন্য আমাকে প্রস্তাব দিয়েছে। পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরতে চাই। ফর্ম আর ফিটনেস ঠিক রেখে নির্বাচকদের মন জয় করতে পারলে তা সম্ভব। ’
উল্লেখ্য, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদে নিষিদ্ধ হওয়া কোনো ক্রিকেটার যদি নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয় তাহলে তার ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ থাকবে। এক্ষেত্রে আইসিসির অনুমতি সাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই-তিন মাস আগে উক্ত ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন।
তাই ৩০ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বাটও সে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
আরএম