ফতুল্লা থেকে: ভারতের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্ট খেলতে বুধবার (১০ জুন) মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচ সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব আলী ওসমান স্টেডিয়ামে শেষ প্রস্তুতি সেরেছে টাইগাররা।
অনুশীলন শেষে দলের অধিনায়ক (টেস্ট) মুশফিকুর রহিম ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করার কথা জানান।
টাইগারদের অনুশীল পর্ব শেষ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন মুশফিক ও কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে। ম্যাচে ভালো করার প্রত্যয় জানিয়ে মুশফিক বলেন, সবসময় চেষ্টা থাকে ভালো খেলার। গত সিরিজে (পাকিস্তানের বিপক্ষে) প্রথম টেস্টটা ভালো খেলেছি। দ্বিতীয় টেস্টটা পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। অবশ্যই জেতার জন্য খেলবো। যদি পরিস্থিতি ওভাবে না থাকে, তাহলে অন্তত ড্রয়ের চেষ্টা করবো। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
খেলোয়াড়দের সামর্থ্যের বিষয়ে মুশফিক বলেন, ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার সামর্থ্য আমাদের আছে। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে, আশা করি ২০টি উইকেটই নিতে পারবো। তবে বড় একটা দায়িত্ব পালন করতে হবে ব্যাটসম্যানদের। শেষ টেস্টে ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। কাজেই ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
আর নাম্বার চারের যে কথাটা বললেন, হ্যাঁ ওখানে একটা শূন্যতা আছে। রিয়াদ ভাই নেই। চেষ্টা করবো টপ অর্ডারের এ শূন্যতা পূরণের।
ভারত শক্তিশালী দল উল্লেখ করে মুশফিক আরো বলেন, ভারত খুবই শক্তিশালী দল। তাদের দলে দুজন স্পিনার রয়েছেন। কিছু পরিবর্তন থাকতে পারে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ২২ গজে ভালো পারফর্ম করতে পারলে দারুণ এক লড়াই হবে।
অতিরিক্ত গরমের মধ্যে খেলা আর টসের গুরত্ব সম্পর্কে মুশফিক যোগ করেন, গরম তো হবেই। এটাই তো চ্যালেঞ্জ। যেকোনো জিনিস কষ্ট করে অর্জন করলে তার মধ্যে অন্যরকম মজা আছে। সবাই কষ্ট করেছে, বেশ অনুপ্রাণিত। আশা করবো, এই পাঁচদিন আরও কষ্ট করতে পারবে।
টস সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। এটা নির্ভর করে আমরা কীভাবে খেলি। এখন আমরা টসে জিতে ব্যাটিং নিলাম, আল্লাহ না করুন, দুই সেশনে অলআউট হয়ে গেলে কথা উঠবে ফিল্ডিং নিলেই ভালো হতো! সবচেয়ে বড় ব্যাপার, আমরা কী করছি। চেষ্টা থাকবে পাঁচটা দিনই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলার। সে অনুযায়ী, সেশন বাই সেশন খেলতে হবে। নিশ্চয়ই জানেন, ভারত শক্তিশালী দল। ভালো খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা কোন পর্যায়ে আছি সেটাও বোঝানো যাবে। বিশেষ করে টেস্টে। অনেক কিছুরই প্রমাণের আছে। ইনশাল্লাহ, কাল থেকে যেন সেটা শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৫
এসকে/এমএমএস