ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সৌম্য, মুস্তাফিজের জেলায় নেই কোনো জিমনেশিয়াম

শেখ তানজির আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৫
সৌম্য, মুস্তাফিজের জেলায় নেই কোনো জিমনেশিয়াম ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাতক্ষীরা: ‘পেরিস্কুপ’ শটের জনক সৌম্য সরকার, কাটার বয় মুস্তাফিজুর রহমান ও গোলমেশিন খ্যাত সাবিনার জেলা সাতক্ষীরা। অথচ এখানে নেই কোনো জিমনেশিয়াম।

নেই আলাদা কোন প্রাকটিস গ্রাউন্ড। শুধুমাত্র নিজেদের আত্মপ্রচেষ্টাতেই এগিয়ে যাচ্ছে সাতক্ষীরার খেলোয়াড়রা। কিন্তু বিদ্যমান এই সংকট দূর হলে সাতক্ষীরা হবে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের মডেল- এমনটাই মনে করেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরার ক্রীড়া সংগঠকরা।

কাটার বয় মুস্তাফিজুর রহমান ও সাতক্ষীরা জেলা দলের কোচ মোফাচ্ছেনুল ইসলাম তপু বাংলানিউজকে বলেন, সাতক্ষীরা খেলোয়াড় তৈরির উর্বরক্ষেত্র। শুধু বর্তমানে নয়, পূর্বেও দেশের ক্রীড়াঙ্গন কাঁপিয়েছে সাতক্ষীরার খেলোয়াড়রা। কিন্তু সাতক্ষীরার খেলোয়াড়দের শারীরিক গঠন ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে কখনই নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।

বেশ আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার খেলোয়াড়দের জন্য একটি জিমনেশিয়াম খুবই প্রয়োজন। আমরা বিভিন্ন সময় বলেছি, কিন্তু কাজ হয় না। শারীরিক সক্ষমতা একজন ক্রিকেটারের মূল্যবান সম্পদ। স্ট্যামিনার অভাবে অনেকেই মাঠে তাদের সর্বোচ্চটুকু দিতে ব্যর্থ হয়। আর শুধু ক্রিকেট নয়, সবধরনের খেলার জন্য শারীরিক গঠন ও শক্তি আবশ্যক। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাতক্ষীরার খেলোয়াড়দের জন্য একটি জিমনেশিয়াম গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা ক্রিকেট দলের ম্যানেজার ও বয়সভিত্তিক দলের কোচ আলতাফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শারীরিক সক্ষমতা তৈরিতে জিমনেশিয়ামের প্রয়োজন আলাদা করে বলা লাগে না। একই সাথে সাতক্ষীরার ক্রীড়া উন্নয়নে নিয়মিত বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠ ও সরকারি হাইস্কুলের মাঠ- এই তিনটিতেই মূলত খেলাধূলা হয়। এরমধ্যে সরকারি হাইস্কুলের মাঠে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের পর থেকে খেলা বন্ধ, এখন পানি জমে আছে। এ মাঠেই সৌম্য ও মুস্তাফিজ ছুটিতে আসলে অনুশীলন করে। সরকারি কলেজের মাঠও নানা কাজে ব্যবহার হয়। এগুলো কর্তৃপক্ষের বুঝে দেখা দরকার।

জিমনেশিয়ামের উপর গুরুত্বারোপ করে জেলার অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক শাহ আলম শানু, প্রাক্তন ক্রিকেটার আল আমিন কবির চৌধুরী ডেভিড ও শেখর বসু সহমত পোষণ করে বাংলানিউজকে বলেন, জেলার ক্রিকেট আরও উন্নত করতে স্টেডিয়াম সংলগ্ন প্রাকটিস গ্রাউন্ড জরুরি। থাকতে হবে জিমনেশিয়ামও। একই সাথে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠকে পরিচর্যার মধ্যে রাখার উদ্যোগ নিতে হবে। কেননা জেলায় একটি মাত্র মাঠে সব ধরণের খেলা সম্পন্ন হয় বলে মাঠের মান নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।

তারা বলেন, একই সাথে ক্রীড়াঙ্গনে পৃষ্ঠপোষকতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

জিমনেশিয়াম থাকাটা অত্যন্ত জরুরী উল্লেখ করে খোদ সৌম্য সরকারই বাংলানিউজকে বলেন, জিমনেশিয়াম শারীরিক সমক্ষতা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। অথচ আমাদের জেলায় জিমনেশিয়াম নেই। আশা করি বিষয়টি অবশ্যই সংশ্লিষ্টরা দেখবেন।  

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সব কিছু নিয়ে চিন্তা করেছি। জিমনেশিয়াম নির্মাণের একটি প্রস্তাবনা দ্রুত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। আশা করছি, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ০৬ আগস্ট ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।