ঢাকা: ফয়সালাবাদ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি (ইউএএফ) থেকে জমি বরাদ্দ নিয়ে ক্রিকেট একাডেমি খুলেছিলেন সাঈদ আজমল। তবে দীর্ঘদিন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার পর এবার আজমলকে না জানিয়ে বিনা নোটিশেই স্থায়ীভাবেই একাডেমি বন্ধ করে দিয়েছে ইউএএফ।
আজমলের দাবি, ‘দু’বছর আগে ইউএএফ থেকে ক্রিকেট একাডেমির জন্য জমি বরাদ্ধ পাই। আমার একমাত্র উচ্ছকাঙ্ক্ষা ছিল তরুণদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা। তাই অর্থের কথা ভাবিনি। এখানে নিবন্ধনভুক্ত দশটি টিমের চারশ উদীয়মান নারী-পুরুষ ক্রিকেটার রয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী ও অন্ধ খেলোয়াড়ও আছে যারা কোচিং ও অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। ১১ মাস আগে নিরাপত্তাজনিত কারণে একাডেমিটি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন ইউএএফ রোববার (০৮ নভেম্বর) থেকে বিনা নোটিশেই এটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। ’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এই একাডেমির পেছনে আমি কষ্টার্জিত উপার্জনের ৬০ মিলিয়ন রুপি ব্যয় করেছি। অথচ, ইউএএফ’র প্রশাসন এক প্রকার জোর করেই এর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। আমাকে এখন সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে একাডেমি ছাড়তেও বলা হচ্ছে। এমনকি এখানে আমার প্রবেশ বন্ধে তারা সিকিউরিটির ব্যবস্থাও করেছে। আমি কী এখানে বোমা তৈরি করতে আসি! এর প্রতিবাদ জানাতে আমার সহকারীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথাই বলেন আজমল।
তবে আজমলের কথার সঙ্গে মোটেই একমত নন ইউএএফ’র ভাইস চ্যান্সেলর (উপাচার্য) ইকরার আহমেদ খান, ‘এটা ইউনিভার্সিটির ভূমি। আজমলকে এটি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাকে শুধুমাত্র আমাদের ভূমিটি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তার মানে এই নয় যে, তিনি একাডেমির মালিকও হয়ে গেছেন। তাছাড়া এর পেছনে তিনি কোনো অর্থই ব্যয় করেননি। ’
এদিকে, অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, আজমলের ক্রিকেট একাডেমিটি অচিরেই খুলে দেওয়া হবে। তবে কোনো কিছুই এখনো নিশ্চিত নয়। তাই শেষ পর্যন্ত এই একাডেমির ভাগ্যে কী আছে তা জানার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই!
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫
আরএম