ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

স্বস্তির ফাইনালে মাশরাফির কুমিল্লা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
স্বস্তির ফাইনালে মাশরাফির কুমিল্লা ছবি: শোয়েব মিথুন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর থেকে: মাশরাফি বিন মর্তুজার নিপুণ অধিনায়কত্বে রংপুর রাইডার্সকে ৭২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মাশরাফিদের দেয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে ৯১ রানে গুটিয়ে গেছে সাকিবদের ইনিংস।



আর এই জয়টি কুমিল্লা দলের জন্য অনেক বড় স্বস্তি নিয়ে এসেছে বলে জানালেন দলটির অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা খোদ নিজেই, ‘অনেক বড় রিলিফ। আমরা ফাইনালে খেলতে পারছি। ’ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) মিরপুরে বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে জয়ের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই নিজেদের স্বস্তির কথা জানান মাশরাফি।

ফাইনালে উঠতে যে কুশীলবরা এই ম্যাচে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের মধ্যে আষাঢ় জাইদি অন্যতম। কুমিল্লার হয়ে ব্যাট হাতে এদিন এই অলরাউন্ডার খেলেছেন ১৫ বলে ৪০ রানের এক ঝড়ো ইনিংস আর বল হাতে তুলে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। তাই সতীর্থের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না মাশরাফি, ‘ওর সার্ভিস অবিশ্বাস্য। বিপিএলের প্রথম ম্যাচ থেকে এই পর্যন্ত ও যেভাবে খেলেছে তাতে ওর কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশাও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে আজকের ম্যাচে তার এমন ব্যাটিংয়ের কারণেই আমরা ১৬৩ রানের সংগ্রহ পেয়েছি। তা না হলে দলীয় সংগ্রহ ১৪০-১৪৫ হতে পারতো। ব্যাট ও বল হাতে আজ সে অসাধারণ  ছিল। হয়তো আমাদের কেউই এমনটা প্রত্যাশা করিনি। ’

কুমিল্লার হয়ে বল হাতে আরেক ঝড় তোলা বোলারের নাম আবু হায়দার রনি। এবারের বিপিএলে এই পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ২১টি ‍উইকেট নিয়ে উইকেট শিকারিদের তালিকায় নিজেকে প্রথম স্থানে নিয়ে গেছেন। শুধু তাই  নয়, কুমিল্লার ফাইনালে উঠার মিশনে প্রথম কোয়ালিফাইং ম্যাচেও দলীয় ৩৬ রানে দুই ওপেনার সৌম্য ও লেন্ডল সিমন্সকে ফিরিয়ে দিয়ে রংপুরের ব্যাটিং ধষ তিনি শুরু করেছেন। তাই অধিনায়কের প্রশংসা বাণী থেকে তিনিও বাদ পড়লেন না, ‘ও যেভাবে বল করেছে তাতে ওকে অনেক পরিপক্ক মনে হয়েছে। আমি ওকে দলের অনেক চাপের মুহুর্তেও বল করিয়েছি এবং ও পেরেছে। ওকে ভীষণ প্রমিজিং মনে হয়েছে। ’

ফাইনালের মিশনে স্পিনারদের উপর নির্ভরশীল  না হয়ে পেসারদের উপরই বেশি নির্ভর করেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। তাই দলের বোলিং আক্রমনে চার জন পেসারের সঙ্গে রাখেন দুই জন স্পিনার।  

আর দলটির বোলিংয়ে শুধু সতীর্থদের বোলিংই নয়, মাশরাফির নিজের বোলিং পারফরম্যান্সও দলকে দিয়েছে বাড়তি প্রেরণা। শরীর শতভাগ ফিট ছিলনা তাই শর্ট রান-আপেই এদিন বল করেছেন। তারপরেও বেশ নিয়ন্ত্রিত থেকেছেন নিজের বোলিং স্পেলে। ৪ ওভার বল করে ১৩ রানের বিনিময় তুলে নিয়েছেন ১টি উইকেট।

নিজের পারফরম্যান্স সহ সতীর্থদের পারফরম্যান্স ও টিম ওয়ার্ক সব মিলে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচেই জয় নিয়ে ফাইনালে উঠে বেশ আনন্দিত কুমিল্লার অধিনায়ক।

** বিপিএলে সাকিবের প্রাণহীন ব্যাটিং

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫
এইচএল/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।