মিরপুর থেকে: বিপিএলের শুরু থেকেই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি। বিপিএলে দেশের উঠতি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন ১৯ বছরের এই তরুণ।
টুর্নামেন্টে ১১ ম্যাচ খেলে আবু হায়দার নিয়েছেন ২১ উইকেট। রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে (১৭) পেছনে ফেলেছেন শনিবার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে। তিন ওভার বল করে ১৯ রানে তুলে নেন চারটি উইকেট।
টুর্নামেন্ট জুড়ে অসাধারণ বোলিং নৈপুন্যে নিজ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার পাশাপাশি প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের প্রশংসাও পেয়েছেন তরুণ তুর্কি আবু হায়দার রনি। দু’জনই আবু হায়দার রনিকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার হিসেবে দেখছেন।
ম্যাচ শেষে মাশরাফি বলেন, ওকে (আবু হায়দার) কাছ থেকে দেখেছি, ও খুবই সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ বলা যায় ওকে। তবে ক্লাব ক্রিকেট এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটের পার্থক্যটা অনেক বড়। এসেই পারফর্ম করা অনকে সময় সহজ, অনেক সময় কঠিন। বাংলাদেশদলের কথা চিন্তা করলে ওকে ‘গ্রেট ফিউচার’ বলা যায়।
আবু হায়দার রনির বোলিং প্রসঙ্গে সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘এই টুর্নামেন্টে ও নিজেকে যেভাবে প্রমাণ করেছে তাতে অবশ্যই তার ভবিষ্যৎ ভালো হবে। বিশেষ করে, বাংলাদেশ দলের জন্যে। বেশিরভাগ ম্যাচেই সে কঠিন পরিস্থিতিতে বল করেছে। পাওয়ার প্লে কিংবা শেষের দিকে। সবার কাছে ও নিজেকে যেভাবে দেখাতে পেরেছে তাতে এটি আরও তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহ যোগাবে। যাকে আমরা অত বেশি চিনি নাই সে এত ভালো পারফর্ম করতে পারছে এটি অন্যদের অনেক বেশি উৎসাহ যোগাবে। তা ব্যাটসম্যান হোক কিংবা বোলার হোক। ’
কুমিল্লাকে ফাইনালে তুলতে দারুণ অবদান ছিল রনির। সৌম্য সরকারকে আউট করে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় নাম লেখান অনুর্ধ্ব-১৯ দল থেকে আসা আবু হায়দার রনি।
পরে লেন্ডল সিমন্স, থিসারা পেরেরা ও আরাফাত সানিকে বোল্ড করলে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের প্রতিযোগিতায় ব্যবধান বাড়ান আবু হায়দার।
এর আগে ২০১২ ও ২০১৪ যুব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন আবু হায়দার রনি। সেখানে তেমন নজর কাড়তে পারেননি তিনি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন বিপিএলের আগেও। ১১ ম্যাচে আবু হায়দারের উইকেট ১৮টি। লিস্ট ‘এ’-তে ভিক্টোরিয়ার (ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে) হয়ে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট।
** সবার উপরে রনি
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
এসকে/আরএম