মিরপুর থেকে: পর পর দুই ম্যাচেই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার বরিশাল বুলসের সাব্বির রহমান। এলিমিনিটর ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ৪১ এরপর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আরও বিধ্বংসী রূপ দেখান সাব্বির।
অথচ বিপিএলে সাব্বিরের শুরুটা হয়েছিল যাচ্ছে তাই। সর্বশেষ দুটি ইনিংসের আগে রানখরায় পুড়ছিলেন এ ক্রিকেটার। শুরুর ৬ ম্যাচে বিবেচনায় সাব্বিরের কাছে বিপিএল ছিল বড় হতাশার। ১৫, ১০, ০, ৩, ১৭, ৪ স্কোরগুলো কোনোভাবেই মানাচ্ছিল না নামের পাশে।
শুরুর এই হতাশাই অবশ্য শেষে এসে সফল করেছে সাব্বিরকে। শুরুতে ভালো কিছু হয়নি বলেই চেয়েছিলেন শেষে এসে দলের জন্য কিছু করতে, ‘আমি আগের মতোই অনুশীলন করে গেছি আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য। প্রথমদিকের ম্যাচগুলোতে হয় নাই। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম বাজে সময় পার করে নকআউট পর্ব থেকে কিছু করা যায় কিনা। আমি চেয়েছি প্রথম ৬ ওভারে রানটা যেন তুলে দিতে পারি। চেষ্টা ছিল কিভাবে রানরেটটা বাড়ানো যায়। ’
১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ রান তুলতেই দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরে গেলে ধাক্কা খায় বরিশাল। চাপের মাঝ থেকে দলকে একাই টানতে থাকেন সাব্বির। তৃতীয় উইকেট জুটিতে শাহরিয়ার নাফিসকে নিয়ে যোগ করেন ১২৪ রান। আর তাতেই জয়ের কাছাকাছি চলে যায় বরিশাল।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর