ঢাকা: পাকিস্তানের আসছে নিউজিল্যান্ড সফরেই মাঠে ফেরার জোর সম্ভাবনা রয়েছে ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আসা পেসার মোহাম্মদ আমিরের। তবে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে বর্তমান দল থেকে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের মাঝে।
এতকিছুর পর এবার আমিরের প্রত্যাবর্তনের খবরে উদ্ভট এক দাবি করে বসলেন দলটির সাবেক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সেলিম মালিক। ৫২ বছর শেষ হতে যাওয়া সাবেক এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান পাকিস্তান দলে দ্বিতীয়বার সুযোগ পেতে চান!
মালিক ছিলেন তার সময়ে পাকিস্তান তথা পুরো ক্রিকেট বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অন্যতম। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১০৩টি টেস্ট ও ২৮৩টি ওয়ানডে। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ২০টি সেঞ্চুরি সহ রয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি রান। কিন্তু ২০০০ সালে তার ক্যারিয়ারে ঘটে এক কলঙ্কিত ঘটনা। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে আজীবন ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা পান ৯০ দশকের সেরা এই ব্যাটসম্যান।
আমির ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হন। তবে অনেক প্রতিকূল সময় পেরিয়ে তিনি আবারও জাতীয় দলের দোরগোড়ায়। আর আমিরের সম্ভাবনা দেখে হয়তো অভিমানের সুরেই জাতীয় দলে ফেরার আঁকুতি জানাচ্ছেন মালিক।
এক সাক্ষাতকারে সেলিম মালিক বলেন, ‘আমি রাগান্বিত বা তিক্ত নই। এটা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আমি পাকিস্তানের হয়ে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। আমার হাত ধরে দল অনেক ম্যাচ জিতেছে। সুতরাং কেন আমাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হবে না। ’
ক্ষোভের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘আমি তখন ক্যারিয়ারের শেষ দিকে ছিলাম। তাই সে সময় আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। তারা আসলে এক বা দুইজনকে বলির পাঁঠা বানাতে চেয়েছিল। ’
১৯৯৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগটি সর্বপ্রথম উইকেটরক্ষ-ব্যাটসম্যান রশিদ লতিফের ওপর গিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সেলিম মালিক ও আতাউর রহমানকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়। আর ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, সাইদ আনোয়ার, মুশতাক আহমেদ, ইনজামাম উল হক ও আকরাম রাজাকে জরিমানা করা হয়।
ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধের বিপরীতে মুক্ত হতে মালিক অনেক চেষ্টা করলেও তা আর হয়নি। তবে দুঃখের সঙ্গে তিনি জানান, তার প্রতি সুষ্ঠ বিচার করা হয়নি।
মালিক যোগ করেন, ‘বিচার সবার জন্য সমান হওয়ার কথা ছিলো। তবে আমাকেই বড় ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এটি ছিলো আমার প্রতি এক প্রকার জুলুম। ’
এদিকে আমিরকে লক্ষ্য করে সেলিম মালিক এমন ক্ষোভের কথা জানালেও তরুণ এ ফাস্ট বোলারের প্রত্যাবর্তনে অভিবাদন জানিয়েছেন তিনি। আমির সহ সে সময়ের অভিযুক্ত সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফেরও দলে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী এ তারকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫
এমএমএস