ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এশিয়া কাপের ‍আদ্যোপান্ত

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৬
এশিয়া কাপের ‍আদ্যোপান্ত ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: এশিয়ার বিশ্বকাপই বলা চলে এশিয়া কাপকে। বাংলাদেশের জন্য এটি অবশ্য আরও বেশি প্রযোজ্য।

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের আগে এশিয়া কাপের মধ্য দিয়েই বিশ্বের অন্যতম সেরা (ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা) দলগুলোর প্রতিপক্ষ হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সে হিসেবে এটি বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপের মতোই মর্যাদার একটি আসর। যে আসরের শিরোপা এখনো অধরা টাইগারদের কাছে।

১৯৮৩ সালে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসে এশিয়া কাপের প্রথম আসরটি। এরপর এটি হয়েছে আরও ১১ বার। এবার ১৩তম আসর আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।

এ নিয়ে টানা তিনবার ও সবচেয়ে বেশি পাঁচবারের মতো আয়োজক হচ্ছে বাংলাদেশ। ১৯৮৮ সালে এশিয়া কাপের তৃতীয় আসর প্রথমবারের মতো আয়োজন করে বাংলাদেশ। ২০০০ সালে ফের এশিয়া কাপের আয়োজক হয় বাংলাদেশ। ২০১২ ও ২০১৪ সালের পর ২০১৬ সালের এশিয়া কাপও আয়োজন করতে যাচ্ছে সফল আয়োজক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া দেশটি। এটি হবে এশিয়া কাপের ত্রয়োদশ আসর। প্রথম ১২ আসরের মধ্যে ভারত ও শ্রীলঙ্কা পাঁচবার করে আর পাকিস্তান দুইবার এশিয়া কাপের শিরোপা জেতে।

বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে স্মরণীয় ২০১২ সালের এশিয়া কাপ। সেবার মাত্র ২ রানের জন্য ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। যে টুর্নামেন্টে ভারত-শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল স্বাগতিকরা। শিরোপাবঞ্চিত হওয়ায় সেদিন সাকিব-তামিম-মুশফিক-নাসিরদের কান্নার রোল পড়েছিল  মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। এশিয়া কাপ বলতেই টাইগারভক্তদের মনে ভেসে আসে আবেগতাড়িত সে কান্নার স্মৃতি।

গত (২০১৪) এশিয়া কাপের স্মৃতিটা অবশ্য একটু তিক্ত। ব্যাটে-বলে দক্ষতা দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই বছরের বিরতির পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে আবার বসছে এশিয়া কাপের আসর। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পর পরই ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ থেকে ০৬ মার্চ ঢাকার দুটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এটি। এবার বদলে গিয়েছে টুর্নামেন্টের ফরম্যাটের ধরন। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হতে যাচ্ছে আসরটি।

মূলপর্ব শুরুর আগে আইসিসির চার সহযোগী দেশ হংকং, ওমান, আরব আমিরাত ও আফগানিস্তান খেলবে কোয়ালিফাইং রাউন্ড। এখান থেকে উঠে আসা একটি দল মূলপর্বে খেলবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে।

এশিয়া কাপের ‍আয়োজন সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করতে সম্প্রতি ঢাকায় ঘুরে গেছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) ইভেন্ট ও অপারেশন্স ম্যানেজার সুলতান রানা। বাংলাদেশে টানা তিনবার এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি বলেন, বিসিবি অত্যন্ত দক্ষ একটি প্রতিষ্ঠান। আগের দুবারই তারা সেটি প্রমাণ করেছে এশিয়া কাপ আয়োজন করে। তাদের ইভেন্ট আয়োজনের অভিজ্ঞতাও কম নয়। এর মধ্যে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে সিরিজ সম্পন্ন করেছে। আর বিপিএলও তো বেশ ভালোই হয়েছে। আমরা তিন-তিনবার এশিয়া কাপ আয়োজনে তাই বাংলাদেশের ওপরই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এখানকার মানুষও আমাদের জন্য বড় একটি বিষয়। বিশেষ করে ক্রিকেট মাঠে যে দর্শক তা সবাইকে মুগ্ধ করে। বাংলাদেশে আবারও এশিয়া কাপ আয়োজনে এই বিষয়টাও বেশ কাজ করেছে।

বাংলাদেশে  নিরাপত্তার বিষয়ে পাকিস্তানি সাবেক এ ক্রিকেটার বলেন,  এটি দেখভালের জন্য যদিও একটি আলাদা বিভাগ আছে। তারপরও আমি এখানে বেশ কয়েক দিন ধরেই আছি। আমার মনে হয়নি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু আছে।

ঢাকার মাঠে আরও একবার শুরু হচ্ছে ক্রিকেট যজ্ঞ। মার্চে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে ফেব্রুয়ারির শেষ ভাগে এশিয়া কাপের উত্তেজনায় বুঁদ থাকবে এশিয়ার দলগুলো। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের ২২ গজের উত্তেজনা উপভোগ করবে কোটি ক্রিকেটভক্ত। দেখা মিলবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট লড়াইও।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ০১ জানুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।