ঢাকা: যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অতীতের পারফরমেন্স দেখলে কিছুটা হতাশই হতে হয়। এ পর্যন্ত তিনবার প্লেট চ্যাম্পিয়ন ও তিনবার কাপ পর্বের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক পারফরমেন্স, দলের চার ক্রিকেটারের গত বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা, দেশবাসীর প্রত্যাশা সবমিলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নে একাট্টা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। যুবাদের দলপতি মেহেদি হাসান মিরাজ আরও বেশি সাহস পাচ্ছেন দলের সবার চোখ শিরোপায় থাকায়।
তবে শিরোপা জয়ের পথ সহজ হবে না মানছেন মিরাজ, ‘বিশ্বকাপে প্রসেস মেইনটেইন করলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো। প্রথমে তিনটি ম্যাচ জিতে কোয়ায়র্টার ফাইনাল নিশ্চিত করতে হবে, এরপর সেমিফাইনাল। এভাবে এগোতে হবে। আমাদের মূল ফোকাস থাকবে ম্যাচ বাই ম্যাচ জেতায়। ’
যুবাদের দলটিকে নিয়ে সবার প্রত্যাশা কত বেশি সেটাও জানা মিরাজের। সেই প্রত্যাশা মেটাতে বদ্ধপরিকর যুবাদের এ অধিনায়ক, ‘কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবি কর্মকর্তা সবাই চাইছেন বিশ্বকাপ এবার ঘরেই থাক। ক্রিকেট বোর্ডসহ সকলের প্রত্যাশা এবার মেটাতে চাই। এ জন্য দেশবাসীর দোয়া চাইছি। ’
বিশ্বকাপের মঞ্চে নামার আগেই নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। ০৮ জানুয়ারি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ঢাকায় আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। ১১, ১৪ ও ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজটা বেশ কাজে লাগবে বলে মনে করেন মেহেদি হাসান মিরাজ, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আমরা ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নিতে চাই। তাদের সঙ্গে তিনটি ম্যাচ রয়েছে। যা খুব কাজে দেবে আমাদের। এর আগে বিসিবি একাদশের সঙ্গে চারটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। তিনটিতেই আমরা জিতেছি। তবে, উইকেটের কারণে হয়তো ক্রিকেটাররা খুব বেশি রান পাইনি। ’
আগামী ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে স্বাগতিকরা। দ. আফ্রিকা ছাড়াও বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়া।
মূলপর্বের আগে ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ার্মআপ ম্যাচ খেলতে নামবে মিরাজবাহিনী। ২৫ জানুয়ারি একই মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ার্মআপ ম্যাচ খেলতে নামবে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ০২ জানুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর