খুলনা: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চারটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই সারছে টাইগাররা।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে নিজেদের আরেকবার ঝালাই করে নিতে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ঘাম ঝরায় গোটা দল।
দুটি পর্বে বিভক্ত হয়ে বিকেলে বোলিং-ব্যাটিং ও সন্ধ্যায় ফিল্ডিংয়ের অনুশীলন করেছেন সাকিব, মুশফিক, তামিমরা।
বোলিং মেশিন থেকে ছোড়া বলগুলো সাকিব পুল, হুক, পেরিসকোপ শর্টের মাধ্যমে প্রথমাংশের বেশি সময় কাটান। এছাড়া বেশি সময় বোলিংয়ে কাটিয়েছেন মাশরাফি ও মুস্তাফিজ। ইনডোরে সৌম্য সরকার, তাসকিন ও সোহানকে অনুশীলনে ব্যস্ত রাখেন কোচ হাতুরুসিংহে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শীত কুয়াশা ভেদ করে ফ্লাড লাইটের আলোয় চলে ফিল্ডিংয়ের অনুশীলন।
খুলনার এই মাঠে একমাত্র টি-২০ হয় ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে সংগ্রহ করে ১৬৬ রান। জিম্বাবুয়ে ৯ উইকেটে ১২৩ রান করলে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম টি-২০ ম্যাচে জয় পায় ৪৩ রানে।
ওয়ানডে ও টেস্টে পয়মন্ত এই ভেন্যুতে সর্বশেষ কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল আট মাস আগে। ২০১৫ সালে (২৮ এপ্রিল-২ মে) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওই টেস্টে ছিল রেকর্ডের ছড়াছড়ি। খুলনার এই মাঠে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৫৫ বছরের রেকর্ড ভাঙেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে প্রথমবারের মতো ৩০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
এর আগে ১৯৬০ সালে ওভালে ঘরের মাঠে ইংলিশ ওপেনার কাউড্রেরি-পুলার জুটি তৃতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৯০ রানের জুটি গড়েন। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম-ইমরুলের ৩১২ রান ছিল দেশের হয়ে যে কোনো উইকেট জুটিতেও সর্বোচ্চ। ২০১৩ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে গলে ৫ম উইকেট জুটিতে আশরাফুল ও মুশফিক করেছিলেন ২৬৭ রান।
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার গলে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০ রান করেন মুশফিকুর রহিম।
খুলনার ওই টেস্টে ২০৬ রান করে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মালিক হন তামিম ইকবাল। টেস্টের শেষ দিনে তামিম ২৭৮ বলে ১৭টি চার ও সাতটি বিশাল ছক্কায় ২০৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলার পর মোহাম্মদ হাফিজের শিকার হন। তামিম এর আগে ২০১০ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ঢাকার মাঠে ১৫১ রান করেছিলেন। খুলনা টেস্টে রয়েছে বাংলাদেশি বোলারদের আরো কিছু অর্জন।
এই টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম ৬ উইকেট নেন।
এদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) খুলনায় আসার কথা রয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে স্প্রিং বকরা। এরপর ১৭, ২০ ও ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা। সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে ২৩ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়বে এল্টন চিগুম্বুরা নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ে দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫
এমআরএম/এএ