ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

যুব বিশ্বকাপ

শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোয়াত ইউনিটের মহড়া

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোয়াত ইউনিটের মহড়া ছবি : জি এম মুজিবর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আগামী ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে বসছে অনূর্ধ্ব-১৯ বা যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের একাদশতম আসর। টেস্ট খেলুড়ে ৯টি দেশ ও আইসিসি’র ৭ সহযোগী সদস্য দেশকে নিয়ে দেশের আটটি ভেন্যুতে শুরু হচ্ছে এবারের আসর।

১৬টি দেশের প্রায় আড়াই’শ ক্রিকেটারের পদচারণায় মুখর থাকবে ভেন্যুগুলো।

যে কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্ট শুরুর আগে ভাবতে হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। সেক্ষেত্রে আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ কেমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) তারই মহড়া হয়ে গেল হোম অব ক্রিকেটখ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

ম্যাচের ভেতর হঠাৎ করে দুষ্কৃতিকারীরা নাশকতা ঘটালে তাৎক্ষনিকভাবে কী ব্যবস্থা নেবে স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাক্টিকস (সোয়াত) ইউনিট-তারই চিত্রনাট্য দেখানো হলো মঙ্গলবার দুপুরে।

ক্রিকেটাররা মাঠে খেলছেন, গ্যালারিতে দর্শক। হঠাৎই মিডিয়া সেন্টারের সামনে বোমাবাজ দুই দুষ্কৃতিকারীরা বিকট আওয়াজে ঘটালেন বোমার বিস্ফোরণ। স্তব্ধ পুরো স্টেডিয়াম। আতঙ্কিত ক্রিকেটাররা জড়ো হলেন মাঠের সেন্টার উইকেটে।

সঙ্গে সঙ্গেই ভারী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সোয়াত ইউনিটের ৫০ সদস্যের দল সারিবদ্ধভাবে ঢুকে পড়লো মাঠে। মাঝমাঠে গিয়ে ভাগ হয়ে এক দল ছুটলেন সেন্টার উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিকেটারদের রক্ষা করতে। ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের ঘিরে বেষ্টনী তৈরি করে সোয়াতের সদস্যরা তাদের নিরাপদেই নিয়ে গেলেন ড্রেসিংরুমের ভেতর।
 
আরেকদল উত্তর দিকের মিডিয়া সেন্টারের সামনে পৌঁছে আটক করলেন দুই দুষ্কৃতিকারীদের।

পুলিশ সদস্য, র‌্যাব ও সোয়াত ইউনিটের সদস্যদের পদচারণায় মুখর হয়েছিল শের-ই-বাংলার সবুজ চত্ত্বর। নিরাপত্তা মহড়া দাঁড়িয়ে দেখলেন আইসিসির নিরাপত্তা পরিদর্শক শন নরিস, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বিসিবি কর্মকর্তারা।

মহড়া শেষে  মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘যে মহড়াটি আপনারা দেখলেন তা হলো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে কিভাবে আমরা নিরাপত্তা দেব সেটি। যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে আমাদের প্রশিক্ষিত সোয়াত টিম কিভাবে এটিকে ট্যাকল করবেন, প্রতিরোধ গড়ে প্লেয়ার এবং টিম ম্যানেজম্যান্টকে কিভাবে নিরাপদ রাখবেন সেটির মহড়া আমরা দেখলাম। ডিএমপি কমিশনার হিসেবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলতে পারি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে ইভেন্টকে উৎসবমুখর ও নিরাপদ করার জন্য। ’

ঢাকার বাইরের ভেন্যুগুলোতেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান তিনি, ‘ফতুল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার-যেখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো হবে সেগুলো ঘিরে স্থানীয় প্রশাসন, ‌আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আমাদের ইন্টেলিজেন্সির সমন্বয়ে সেখানেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতীতে আমরা যেমন প্রত্যেকটি ইভেন্ট সাফল্যের সাথে শেষ করতে পেরেছি, আশা করি এটিও ভালোভাবে শেষ করবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।