ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

লঙ্কা-গেরো খুলবে তো আজ?

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬
লঙ্কা-গেরো খুলবে তো আজ? ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ফাইল ফটো

মিরপুর থেকে: টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কঠিনতম প্রতিপক্ষের একটি শ্রীলঙ্কা। যাদের বিপক্ষে চার ম্যাচের সবকটিতেই হার বাংলাদেশের।

মানে, টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখনো জয়ের স্বাদ পায়নি টাইগাররা।

মিরপুরে এবার ‍খুলে যাবে লঙ্কা-গেরো, টি-টোয়েন্টিতে শ্র্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম জয়টা আসবে এশিয়া কাপেই-এমন প্রত্যাশা নিয়ে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করছেন টাইগারভক্তরা। মাঠে এসেছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দল। ম্যাচে নামার আগে মাঠের দু’পাশে অনুশীলন করছে দু’দল। এশিয়া কাপের পঞ্চম ম্যাচটি মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের জন্য মিরপুরের ৪ নম্বর উইকেটটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ উইকেটে তেমন ঘাস নেই।

ম্যাচ জয়ের পরিসংখ্যান এক পাশে সরিয়ে অতীতের চার ম্যাচের তিনটিতে যেভাবে লঙ্কান সিংহদের সঙ্গে বাংলার বাঘেরা লড়াই জমিয়েছে তাতে এ ম্যাচে সেই প্রেরণা পাবে মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকরা।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সর্বশেষ দেখা দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে। দুটি ম্যাচেরই নিষ্পত্তি হয়েছিল ইনিংসের শেষ বলে।

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দেয়া ১২১ রানের টার্গেটে টপকে যায় ইনিংসের শেষ বলে থিসারা পেরেরার কল্যানে। ৫০ রানে ৬ উইকেট ফেলে দিয়ে মাশরাফির দল যখন নিশ্চিত জয় দেখার অপেক্ষায়। তখনই ব্যাটে ঝড় ওঠে আট নম্বরে নামা থিসারা পেরেরার। লো-স্কোরিং ম্যাচে পেরেরা ২৮ বলে ৩৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে তিন উইকেটের জয় ছিনিয়ে নেয়।

সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ছিল আরও শ্বাসরুদ্ধ। লঙ্কানদের দেওয়া ১৬৯ রানের বড় টার্গেট টপকানোর পথেই ছিল বাংলাদেশ। বাঁধ সাধেন ওই পেরেরাই। শেষ বলে যখন তিন রান প্রয়োজন, ৫৮ রানে অপরাজিত থাকা এনামুল হক বিজয় তখন স্ট্রাইকে। পেরেরার হাই ফুলটসে এনামুল ক্যাচ তুলে দেন মিডউইকেটে। ফুলটসটি কোমর-উচ্চতায় এলেও আম্পায়ার নো বল না ডাকায় আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। দুই রানে ম্যাচ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা।

শ্রীলঙ্কার মাটিতেও জয়ের কাছাকাছি গিয়ে হারের আক্ষেপ আছে বাংলাদেশের। ২০১৩ সালের মার্চে পাল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দিনেশ চান্দিমালের দল ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে বাংলাদেশের সামনে ১৯৮ রানের পাহাড় দাঁড় করায়।

তারপরও ভড়কে যায়নি মাশরাফির দল। আশরাফুল (২৭ বলে ৪১), মুশফিক (২৯ বলে ৩৯), মাহমুদউল্লাহ (১৮ বলে ৩১) ও মুমিনুলের (১৬ বলে ২৬) তাণ্ডবে সাত উইকেট হারিয়ে ১৮১ অব্দি পৌঁছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি জেতে ১৭ রানে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াইহীন হার হয়েছে একটি, ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। শ্রীলঙ্কার ১৪৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ৮৩ রানে। দু’দলের প্রথম মুখোমুখি দেখায় ৬৪ রানের হার দেখে মোহাম্মদ আশরাফুলের বাংলাদেশ।  

টাইগারভক্তদের মাঝে অতীতের হতাশা আজ ভুলিয়ে দিতে পারেন মাশরাফি-সাকিবরা, একটি জয় তুলে নিয়ে। এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশের জন্য জয়ের অবশ্য বিকল্পও নেই। ভক্তদের প্রত্যাশা ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠে নিশ্চয়ই মেটাতে চাইবে মাশরাফিবাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।