ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সর্বোচ্চ রানের ম্যাচে লুইস-রাহুলের ঝড়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
সর্বোচ্চ রানের ম্যাচে লুইস-রাহুলের ঝড়

ঢাকা: টি-টোয়েন্টির দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই ফরমেটে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ রান করে জয় পেয়েছে। টিম ইন্ডিয়াকে ১ রানে হারিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে জয় পায় ক্যারিবীয়রা।

দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে ১-০ লিড নিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পুরো ম্যাচে রান হয়েছে ৪৮৯, যেকোনো টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের ম্যাচ। এর আগে ২০১০ সালে আইপিএলের আসরে চেন্নাই সুপার কিংস আর রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মধ্যকার ম্যাচে রান হয়েছিল ৪৬৯। এছাড়া, এই ম্যাচে সেঞ্চুরি হয়েছে দুটি, উইকেট পড়েছে ১০টি আর জয়ের ব্যবধান রানের হিসেবে ন্যুনতম।

আমেরিকার মাটিতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৪৫ রান সংগ্রহ করে। ৬ উইকেট হারিয়ে তোলা তাদের এই রান টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এর আগে ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে ২৬০ রান তুলেছিল কেনিয়ার বিপক্ষে। আর ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে করেছিল ২৪৮ রান।

২৪৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত জয়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ব্যর্থ হয়। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে টিম ইন্ডিয়া তোলে ২৪৪ রান। শেষ বলে দুই রানের প্রয়োজন হলেও মহেন্দ্র সিং ধোনি স্ট্রাইকে থেকে আউট হন।

ক্যারিবীয়দের হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন দুই ওপেনার জনসন চার্লস আর এভিন লুইস। ওপেনিং জুটি থেকেই তারা তুলে নেন ১২৬ রান (৯.৩ ওভার)। চার্লস ৩৩ বলে ৬টি চার আর ৭টি ছক্কায় করেন ৭৯ রান। আর ৪৯ বলে ৫টি বাউন্ডারি আর ৯টি ওভার বাউন্ডারিতে লুইস করেন ১০০ রান। ইনিংসের ১৬তম ওভারে আউট হন এই সেঞ্চুরিয়ান।

এছাড়া, আন্দ্রে রাসেল ২২, কাইরন পোলার্ড ২২ আর নতুন দলপতি কার্লোস ব্রাথওয়েইট ১৪ রান করেন।

২০০৭ সালে ভারতের যুবরাজ সিং ইংল্যান্ড পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে নিয়েছিলেন ৩৬ রান। এই ম্যাচে ১১তম ওভারে ভারতের স্টুয়ার্ট বিন্নি দেন ৩২ রান। তার করা প্রথম ৫ বলেই ছক্কা হাঁকান লুইস।

ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং জাসপ্রিত বুমরাহ। একটি উইকেট পান মোহাম্মদ শামি।

২৪৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের ওপেনার রহিত শর্মা ২৮ বলে করেন ৬২ রান। তার ইনিংস সাজানো ছিল চারটি করে চার ও ছক্কায়। আরেক ওপেনার আজিঙ্কা রাহানে ৭ রান করে বিদায় নেন।

বিরাট কোহলি ১৬ রানে ফিরলে জুটি বাঁধেন লোকেশ রাহুল আর দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনি। এই জুটি থেকে আসে ১০৭ রান।

রাহুল খেলেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। ৪৬ বলে শতক পূর্ণ করেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ৪৫ বলে শতক হাঁকিয়েছিলেন রিচার্ড লেভি। এক বলের জন্য রেকর্ডটি নিজের করে নিতে না পারলেও ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ৫১ বলের ইনিংস ছিল ১২টি চার আর ৫টি ছক্কায় সাজানো।

ধোনি ২৫ বলে ৪৩ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন। শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল মাত্র ৮ রান আর শেষ বলে দরকার ছিল দুই রান। কিন্তু, ভারতের দলপতি ব্রাভোর বলে স্যামুয়েলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে দলকে নাটকীয় জয় থেকে বঞ্চিত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮ ২০১৬
এমআরপি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।