ঢাকা: গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ অংশে প্রত্যাশার চাপ সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক রানে জিতেছিল ভারত।
হেরে যাবার পর বাংলাদেশকে ‘অনভিজ্ঞতার অভাব’ বলে হেয় করেছিল ভারতের অনেক ক্রিকেটার। টিম ইন্ডিয়ার দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনিও ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের বাস্তব অভিজ্ঞতার দিকে আঙ্গুল তুলেছিলেন।
টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের এক ম্যাচ দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪৫ রান করে, জবাবে ২৪৪ রানে থেমে যেতে হয় ধোনি বাহিনীকে। আর এক রানে জয় তুলে নেয় ক্যারিবীয়রা।
‘ক্যাপ্টেন কুল’ খ্যাত ধোনি কি ‘অনভিজ্ঞতার অভাব’ টের পেয়েছেন?
ভারতের ইনিংসের শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৮ রান। শেষ বলে জয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়ার দরকার ছিল মাত্র ২ রান। ব্যাটিং স্ট্রাইকে ছিলেন ধোনি, অপর প্রান্তে ছিলেন টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করা লোকেশ রাহুল। যে ম্যাচে ওভার প্রতি ১২ রান করে উঠছিল সে ম্যাচের শেষ ওভারে জেতার কথা ছিল ভারতেরই। কিন্তু, শেষ বলে ব্যর্থ হন ধোনি।
ধোনির এমন ভুলে ইতিহাস গড়া হয়নি ভারতের। ধোনি নিজেও স্বীকার করে নিলেন নিজের ব্যর্থতার ব্যাপারটি। তিনি জানান, ‘২৪৫ রান তাড়া করে পুরো সময় আমরা ম্যাচে ছিলাম। আমি মনে করি ম্যাচটিতে আমাদের অনেক ইতিবাচক দিক ছিল। শেষ বল পর্যন্ত খেলেছি। এমন কী শেষ বলটি সম্পর্কে আমার চিন্তাভাবনা সঠিক ছিল। আমি যেভাবে খেলতে চেয়েছিলাম সেটা সঠিক থাকলেও সেভাবে খেলতে পারিনি। সেটাই আমার ভুল হয়েছে। ’
ধোনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি বোলারকে বুঝতে পেরে সঠিক শটটি খেলতে পারেন তাহলে আপনি জিতবেন। আমি ব্রাভোর বলটি বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু সেভাবে খেলতে পারিনি। কারণ, ডেথ ওভারে ক্যারিবীয়ান বোলাররা অনেক অভিজ্ঞ। ’
শেষ বলের আগে প্রায় দুই মিনিট সময় নিয়েও ডোয়াইন ব্রাভোর বলে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ধোনি। ভারত ম্যাচ হারে রানের দিক দিয়ে ন্যুনতম ব্যবধানে। যেমনটি হেরেছিল বাংলাদেশ। তাহলে কি ম্যাচের শেষ অংশে প্রত্যাশার চাপ সামলাতে পারেননি ভারত দলপতি?
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
এমআরপি