ঢাকা: ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত হওয়ায় স্বস্তি নেমেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দুটি টেস্ট ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশ দলের পেসার আল-আমিন হোসেনের কথায় বোঝা গেল কতটা স্বস্তি ক্রিকেটারদের মাঝে, ‘এটা পুরো ক্রিকেটের জন্য স্বস্তির খবর। কারণ, আমরা টি-২০ বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলের হয়ে একটি ম্যাচও খেলিনি। ইংল্যান্ড যদি না আসতো তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হতো। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড আসাতে আমাদের ভক্ত-সমর্থক, আমরা যারা খেলোয়াড় তাদের সবার জন্য স্বস্তি যে, আমরা আমাদের হোম গ্রাউন্ডে আবার জাতীয় দলের হয়ে খেলছি। ’
ইংল্যান্ড বাংলাদেশে পাঁ রাখার আগেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে লম্বা বিরতি কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ আসতে পারে আফগানিস্তান। যদিও সিরিজটি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও দেয়নি বিসিবি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি হলে সেটিকে নিজেদের প্রমাণের চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি ইংল্যান্ড সিরিজের ভালো প্রস্তুতি মনে করছেন আল-আমিন, ‘আফগানিস্তান যদি আসে তাহলে চ্যালেঞ্জও বলতে পারেন আবার প্রস্তুতির ভালো মঞ্চও বলতে পারেন। ওরা ভালো ক্রিকেট খেলছে। অন্যদিকে, আমরা অনেক দিন ক্রিকেট থেকে বাইরে। এজন্য আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে আমরা ভালো। ’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখার পেছনে আল-আমিনের যু্ক্তি, ‘এখন প্রত্যেকটা টিমই সমান-সমান। আমরা এক বছর ভালো ক্রিকেট খেলছি। দেখেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আমরা ক্রিকেটের বাইরে। আর ওরা খেলছে। ’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করলেও নিজেদের আত্মবিশ্বাসের জানান দিলেন পরক্ষণেই, ‘আমাদের বিশ্বাস ওরা আমাদের কাছে পাত্তাই পাবে না। আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ওদেরকে সবগুলো ম্যাচ হারানোর.. যতগুলো ম্যাচ আছে সেগুলো ভালো করা। তাহলে ইংল্যান্ড আসার আগের বড় প্রাপ্তি হবে, অভিজ্ঞতা বাড়বে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
এসকে/এমআরএম