জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে: শুরুতেই অভিষিক্ত মেহেদি হাসান মিরাজের স্পিনে নাকাল হওয়া ইংল্যান্ডকে খুব সতর্কতায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জো রুট ও মঈন আলী। ২১ রানেই তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলীয় স্কোর ৭৭-এ নিয়ে যান দু’জন।
কিন্তু ইংল্যান্ড রিভিউ নিলে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্প ছুঁলেও তা বেশিরভাগই বাইরে। ফলে সেই যাত্রায় বেঁচে যান মঈন। মঈন রিভিও নিয়ে বেঁচেছেন আরও দুবার। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় বাংলাদেশ দু’বার রিভিউ নিয়েও তাকে আউট করতে পারেনি।
মধ্যাহ্ন বিরতি শেষে ২৯তম ওভারটি করতে আসলেন সাকিব আল হাসান। ওভারের দ্বিতীয় বলটা মঈন আলীর প্যাডে লাগতেই আবারও বাংলাদেশের জোরালো আবেদন। যথারীতি আঙ্গুল উঠল ধর্মসেনার! কিন্তু রিভিউ নিলে দেখা যায় অপস্টাম্প লাইন থেকে বলটি টার্ন করে চলে গেছে লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে। ফলাফল আউট বাতিল। টিকে রইলেন মঈন।
একবল বিরতি দিয়ে মঈন আবার মিস করলেন বল। বল ব্যাট না ছুঁয়ে সরাসরি প্যাডে আঘাত করল। আবেদন করতেই ধর্মসেনার সাড়া। আবার রিভিও। এবার তো বল লাইনেরই বাইরে। অপস্টাম্পের অনেক বাইরে থেকে বল ঢুকল ভেতরে।
উইকেটে সকাল থেকেই বল টার্ন করছে খুব। কখনও কখনও নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়েও বেশি। তাতেই হয়তো ‘টাল’ খেলেন সময়ের অন্যতম সেরা আম্পায়ার হিসেবে বিবেচিত সাবেক শ্রীলংকান ক্রিকেটার কুমার ধর্মসেনা! না হয় আম্পায়ার লাইনে দাঁড়িয়ে টানা ছয় বলের মধ্যে তিনবারই আঙ্গুল তুলে বসবেন কেন!
মঈন আলী আরও একবার বেঁচে গেছেন। মিরাজের করা ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলটি তার প্যাড ছুঁতেই আবেদন টাইগারদের। কিন্তু সাড়া দেননি নিউজিল্যান্ড আম্পায়ার ক্রিস গেফানি। তবে এবার রিভিউ নিলেন মুশফিক। কিন্তু দেখা গেল বল লাইন ছুঁলেও তা একেবারেই সামান্য পরিমাণে। ফলে রিভিউ নিয়েও কোনো লাভ হলো না বাংলাদেশের।
এর আগে রিভিউ নিয়ে আরও একবার মঈনকে সাজঘরে ফেরাতে পারেনি স্বাগতিকরা। ওটা ছিল ২৪তম ওভারের চতুর্থ বল। সেবারও বল মঈনের প্যাডে বল লাগায় আউটের আবেদন করেন মুশফিক-সাকিবরা। কিন্তু আম্পায়ার ক্রিস গেফানি সারা না দেওয়ায় রিভিউ নেওয়া হয়। কিন্তু বল লেগ স্টাম্পে লাগায় নটআউটের সিদ্ধান্তই বলবৎ থাকে।
এতবার রিভিউ নিয়ে তিনবার বেঁচে যাওয়া, আবার বিপক্ষে দলের দু’বার রিভিউ নেওয়ার পরেও আউট না হওয়া। বৃহস্পতিবার দিনবর তাই রিভিউ বিষয়টির সঙ্গে লেগে থাকল মঈন আলীর নাম।
মঈন আলী আউট হতে পারতেন ২, ১৪, ১৭ কিংবা ২৯ রানে। কিন্তু বেঁচে গেলেন প্রত্যেকবারেই। তার এতবার বেঁচে যাওয়াকে ভাগ্য ছাড়া আর কিই বা বলা যায়। তাইতো শেষবার যখন মঈন বেঁচে যান বাংলাদেশের তামিম ইকবাল দুষ্টুমি করে তাকে মাথায় ফুঁ দিয়ে ‘দোয়া’ করে দিতে অনুরোধ করলেন!
শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে থামে মঈনের ইনিংস। ৬৮তম ওভারে দলীয় ১৯৪ রানে অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৬, আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা
টিএইচ/টিসি/এমআরএম