ঢাকা: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই নিজের সামর্থ্যের জানান দেন। প্রবেশ করেন পাঁচ উইকেটের অভিজাত ক্লাবে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দিনবর মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে নাকাল হয় ইংলিশরা। দ্বিতীয় দিনে এসে তার হাত ধরেই ২৯৩ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস।
স্টুয়ার্ট ব্রডকে (১৩) ফিরিয়ে নিজের ছয় নম্বর উইকেটটি তুলে নেন মিরাজ। আর একটি উইকেট কিংবা সাত রান কম দিলেই রেকর্ডের চূড়ায় উঠতে পারতেন। তাতে কী! মাত্র ১৮ বছর বয়সেই সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের (২০১৬) সেরা খেলোয়াড়।
প্রথম ইনিংসে মোট ১০৫.৫ ওভারের মধ্যে ৩৯.৫ ওভারই করেছেন মিরাজ। রান দিয়েছেন ২.০০ ইকোনোমি রেটে ৮০। সমান ছয় উইকেট নিলেও অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার লিস্টের শীর্ষস্থানটা সোহাগ গাজীর দখলেই। ঢাকায় ২০১২ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে ৭৪ রানের বিনিময়ে ছয়বার উইকেট উদযাপনে মেতেছিলেন ২৫ বছর বয়সী এ অফস্পিনার।
সে যাই হোক, একদিক থেকে সোহাগ গাজীর চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে মিরাজ। সোহাগ ২৩.২ ওভার বোলিং করেই দেন ৭৪ রান। যেখানে মিরাজকে আরো ১৬.৩ ওভার বেশি করতে হয়। দেশের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়েছেন আরো তিনজন। এরা হলেন যথাক্রমে মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৫ ওভারে ৮১), ইলিয়াস সানি (২৩ ওভারে ৯৪), নাইমুর রহমান (৪৪.৩ ওভারে ১৩২)।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৬
এমআরএম