ঢাকা: টাইগারদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ এ জিতলেও স্বাগতিকদের সম্ভাবনা ছিল ওয়ানডে সিরিজটি নিজেদের কাছে রাখার। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ জিততে জিততেও হেরেছে মাত্র ২২ রানের ব্যবধানে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি খেলেই ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা দেবে ইংল্যান্ড। সেখানে ৫টি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে আর তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে ইংলিশরা।
আর আসন্ন এই সফরে ভারতের বিপক্ষে কাজ করবেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি স্পিনার সাকলাইন মুশতাক। ইংলিশ স্পিনারদের নিয়ে কাজ করবেন তিনি। বোলিং পরামর্শক হিসেবে মেয়াদটা শুধুই টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে মাত্র ১৫ দিনের। বাংলাদেশের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের আগেও সাকলাইন কাজ করেছেন ইংলিশ স্পিনারদের নিয়ে।
আগামী ০৯ নভেম্বর স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। সাকলাইন ০১ নভেম্বর ভারতে পৌঁছবেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আশা করছে ভারতের উইকেট স্পিনবান্ধব হবে। আর সে লক্ষ্যেই পুনরায় সাকলাইনকে স্মরণ করেছে ইংলিশরা।
সাকলাইন জানান, ‘আমি ইংলিশ স্পিনারদের নিয়ে এর আগেও কাজ করেছি। ভারতের মাটিতে তাদের নিয়ে আবারো কাজ করতে যাচ্ছি। শুধু স্পিনারদেরই না, আমি ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের নিয়েও কাজ করবো। ভারতের কন্ডিশনে কিভাবে স্বাগতিক স্পিনারদের সামলে খেলতে হবে সেটির টিপস দেব। ভারতে এটা হতে যাচ্ছে আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং একটি অ্যাসাইনমেন্ট। ’
১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের হয়ে ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলেছিলেন সাকলাইন। তার দুর্দান্ত স্পিন জাদুতে পাকিস্তান চেন্নাই এবং কলকাতা টেস্টে জিতেছিল। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই কিংবদন্তি জানান, ‘আমি মনে করি ভারতের মাটিতে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। সঙ্গে এটাও বিশ্বাস করি আমার অভিজ্ঞতা আর উপদেশ ইংলিশদের কাজে দেবে। ’
২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব থেকে সড়ে দাঁড়ান আরেক পাকিস্তানি গ্রেট স্পিনার মুস্তাক আহমেদ। এরপর থেকে আদিল রশিদ, মঈন আলিদের মতো স্পিনাররা কোনো কোচ ছাড়াই পারফর্ম করছিলেন। পরে দুসরা ডেলিভারির উদ্ভাবক সাকলাইনকে দলের সাথে পাকাপোক্তভাবে রেখে দেয়ার পরিকল্পনা করে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সাবেক তারকা এ স্পিনার পাকিস্তান টেলিভিশনের সঙ্গে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট বিশ্লেষক হিসেবে চুক্তিতে রয়েছেন।
সাকলাইন এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি সাঈদ আজমলের অবৈধ বোলিং অ্যাকশন শুধরানোর জন্য পিসিবি থেকে নিয়োগ পেয়েছিলেন। টেস্ট (৪৯) ও ওয়ানডে (১৬৯) মিলিয়ে ৪৯৬টি উইকেট পেয়েছেন এই স্পিনার, যেখানে সাদা পোশাকে তার রয়েছে ২০৮টি উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ২৫ অক্টোবর ২০১৬
এমআরপি