ঢাকা: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস করতে মাঠে নেমে টাইগারদের হয়ে সাদা পোশাকে ৫০তম ম্যাচে নামলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক দেশের হয়ে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন।
মুশফিকের আগে বাংলাদেশের হয়ে পঞ্চাশ কিংবা তার বেশি টেস্ট খেলা ক্রিকেটার ছিল মাত্র দুইজন।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১টি টেস্ট খেলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। হাবিবুল বাশার সুমন খেলেছেন ৫০ ম্যাচ। খালেদ মাসুদ পাইলট খেলেছেন ৪৪ ম্যাচ। সমান ৪৩টি করে ম্যাচ খেলেছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। এ ম্যাচের মধ্যদিয়ে পাইলটের পাশে বসলেন তামিম-সাকিব।
মাইলফলকের টেস্টে হাবিবুল-আশরাফুল অধিনায়ক ছিলেন না। তবে, মুশফিক ৫০তম টেস্টটি খেলবেন অধিনায়ক হিসেবে।
২০০৫ সালের ২৬ মে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট অভিষেক হয় মুশফিকুর রহিমের। অভিষেকের পর মাত্র ৮টি টেস্টেই দলে থাকতে পারেননি তিনি। কিন্তু ১ থেকে সংখ্যাটি ৫০ হতে হতে মুশফিকুরের প্রায় ১১ বছর পার হয়ে যায়!
৪৯ টেস্টের ৯০ ইনিংসে ব্যাট করা মুশফিকের রান ২৭৩৭। গড় ৩২.৫৮। তিনটি শতকের সঙ্গে রয়েছে ১৫টি অর্ধশতক। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন মুশফিক।
দলের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা মুশফিক গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ৯০টি ডিসমিসাল করেছেন। যার মধ্যে ৭৯টি ক্যাচ ও ১১টি স্ট্যাম্পিং। যেটি আবার বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড ডিসমিসাল।
মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চিত মুশফিকুর রহিম জানিয়েছিলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। বাংলাদেশের হয়ে ৫০টি টেস্ট খেলা সহজ নয়। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। নিজের ৫০তম টেস্টে চেষ্টা করবো ভালো খেলতে এবং দল যেন ভালো করে। যত বেশি টেস্ট খেলব, তত বেশি শিখব। সামনের বছর আমাদের অনেক টেস্ট (৯ টেস্ট) আছে। মাইলফলকের এই টেস্ট ভালো খেললে ভালো একটা মোমেন্টাম পাব। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর ২০১৬
এমআরপি