মিরপুর থেকে: ‘আমরা এটাও আশা করিনি যে ১০০ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে আজই ওরা অলআউট হবে। অন্তত আমরা ভেবেছিলাম একটা উইকেট পড়লে, উইকেটের যে আচরণ হয়তো ভিন্ন কিছু হতেও পারে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) ইংল্যান্ডকে ১০৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় তুলে নেয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সঙ্গতই বলেছেন মুশফিক। কেননা দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের দেয়া ২৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত অ্যালিস্টার কুক ও বেন ডাকেট যেভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে যে কারোরই মনে হওয়ার কথা যে ২-০ তেই সিরিজ জিততে যাচ্ছে ইংল্যান্ড!
কিন্তু চা-বিরতির পর তৃতীয় সেশনের শুরু থেকেই মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের স্পিন ঘূর্ণিতে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে ইংলিশদের ইনিংস। অ্যালিস্টার কুকদের বিপক্ষে নবাগত মিরাজ বল হাতে যা করলেন তা মনে রাখবে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। কেননা সাদা পোশাকে এতদিন এক সিরিজে ১৮ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও এনামুল হক (জুনিয়র)।
দুই ম্যাচে মিরাজ ১৯টি উইকেট নিয়ে টপকে গেলেন স্বদেশী দুই সিনিয়রকে। যা রীতিমতো অভিভূত করেছে টাইগার টেস্ট অধিনায়ককে। আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া এই জয়ই নাকি ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আরও বড় বড় দলের বিপক্ষে এমন দাপুটে জয়ের পথ দেখাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ৩০ অক্টোবর ২০১৬
এইচএল/এমআরএম