মিরপুর থেকে: ব্যাটসম্যানদের নির্বুদ্ধিতায় খুলনার বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও কাঙ্খিত জয় থেকে বঞ্চিত হল তমিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংস। ফলে ব্যাটসম্যানদের উপর বেশ চটেছেন চিটাগং ভাইকিংস অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
‘যে ধরণের ক্রিকেট খেলছি সে ধরনের ক্রিকেট খেললে এভাবেই হারতে থাকবো। আমার কাছে তাই মনে হয়। কারণ একটা ব্যাটসম্যানকে ২০ বার ম্যাসেজ পাঠানোর পরও যদি সে ভুল করে তাহলে বুঝতে হবে ওর মাথায় কোন সমস্যা আছে, স্কিলে সমস্যা নাও থাকতে পারে। এ ধরনের ক্রিকেটে এই পর্যায়ে যদি ডাল ভাতের মতো খাইয়ে দিতে হয় তাহলে আমি দুঃখিত বলতেই হচ্ছে সে এখানে খেলা ডিজার্ভই করে না। ’
শনিবার (১৩ নভেম্বর) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই ব্যাটসম্যানদের অপরিকল্পিত ব্যাটিংয়ের প্রতিক্রিয়া জানান তামিম ইকবাল।
তামিম চটবেন নাই বা কেন? শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভাইকিংসদের প্রয়োজন ছিল ৬ রান, হাতে ছিল ৪ উইকেট। উইকেটে ছিলেন দুই সেট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী ও চতুরঙ্গ ডি সিলভা। তারপরেও জয়ে ফেরা হলো না তামিম ইকবালদের। খুলানার দেয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের স্পিন ঘূর্ণিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে, ৯ উইকেটে, চিটাগং সংগ্রহ করেছে ১২৩ রান।
২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যক্তিগত ১৯ রানে রিয়াদ ফেরান চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে। এর ১ বল পরেই ০ রানে উইকেট ছাড়া করেন আব্দুর রাজ্জাককে। পঞ্চম বলে স্ট্রাইকে আসেন সেট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী। কিন্তু একটি রানও দলের জন্য এনে দিতে পারলেন না। পরের বলেই মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দিলেন অলোক কাপালির হাতে, তখন নবীর সংগ্রহ ২৩ বলে ৩৯ রান। যা দিন শেষে চিটাগংকে এনে দিয়েছে টানা দ্বিতীয় হার। তবে আরেকটু ভাল ক্রিকেট খেললে এই হার এড়ান সম্ভব ছিল বলে মনে করেন তামিম।
শুধু ২০তম ওভারই কেন? দলীয় ২০ রানে দুই ওপেনার তামিম ও ডোয়েন স্মিথ আউট হওয়ার পরে ব্যাট হাতে কোন প্রতিরোধই গড়তে পারেননি চিটাগংয়ের কোন অর্ডারের ব্যাটসম্যানই তাই তামিমের এমন বিষাদগার। তবে ২০তম ওভারটি পরিকল্পনামাফিক খেললে হার এড়ান সহজ ছিল বলে তিনি মনে করছেন। ‘আমার কাছে মনে হয় আমরা যদি একটু স্মার্টলি ক্রিকেট খেলতাম তাহলে ছয় রান ডিফেন্ড করা অনেক কঠিন ছিল । ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, ১২ নভেম্বর, ২০১৬
এইচএল/এমএমএস