মিরপুর থেকে: চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে শেষ ওভারে অবিশ্বাস্য বোলিং করে দলকে ৪ রানের অসাধারণ এক জয় উপহার দিয়েছেন খুলনা টাইটানসের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চিটাগাংয়ের শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৬ রান, হাতে চার উইকেট।
এমন সমীকরণে বোলিংয়ে এসে মাহমুদউল্লাহ দিলেন মাত্র ১ রান। নিলেন তিন উইকেট। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষেও এভাবেই প্রথম ম্যাচে জিতিয়েছিলেন দলকে।
তবে প্রথমবারে চেয়ে আজ বেশি স্নায়ুচাপে ভুগেছেন মাহমুদউল্লাহ। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ ম্যাচ জেতানো প্রসঙ্গে বলেন, ‘জানি না। হয়ে গেছে। এর বাইরে সত্যিই কিছু জানি না। খুব নার্ভাস লাগছিল। আমার এখনো হাত ঘামছে! আমি শুধু চেষ্টা করেছি নবীকে যতটা কম স্ট্রাইক দেওয়া যায়। চাতুরাঙ্গার উইকেটটা ওই সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথম বলটা ডট হওয়ার পর আস্তে আস্তে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই। ’
বোলিংয়ে আসার সময়ও মাহমুদউল্লাহ ভাবছিলেন ম্যাচটা হারতে যাচ্ছে তার দল। ৬ বলে ৬ রানের সহজ সমীকরণের সঙ্গে ক্রিজে তখন দুই সেট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী ও চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা। মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘৬ বলে ৬ রান, দুইজন সেট ব্যাটসম্যান। উইকেট খুবই ভালো ছিল। প্রথম বলে যখন এক হয় তখন আস্তে আস্তে বিশ্বাসটা বাড়তে থাকে। উইকেটটা পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসটা আরও ভালো হয়। কোনো ম্যান্টাল গেমই ছিল না। সত্যি কথা আমি শুধুমাত্র ভালো জায়গায় বোলিং করার চেষ্টা করেছি। এর বাইরে কিছুই না। কারণ আমি চিন্তা করেছিলাম ম্যাচটা হেরে গেছি। জাস্ট এতোটুকুই। ’
আজও বিকল্প কেউ না থাকাতেই শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ, ‘এছাড়া কোন অপশন ছিলো না। আমি চিন্তা করেছিলাম সেরা বোলারদের বলগুলো যদি আমি রেখে দেই, সেটা ব্যবহার করা যাবে না পরবর্তীতে। তো আমার সেরা বোলারদের যদি আগেই আমি ব্যবহার করতে পারি। আমার মনে হয় যে শফিউলের স্পেলটা অসাধারণ ছিল। কুপার-জুনায়দে-রুবেল মাঝখানে বেশ টাইট কয়েকটা ওভার করেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ১২ নভেম্বর, ২০১৬
এসকে/এমএমএস