ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মুশফিকের ফিরে পাওয়ার আনন্দ

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
মুশফিকের ফিরে পাওয়ার আনন্দ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-ফাইল ফটো

ব্যক্তিগত কোনো কীর্তি কিংবা দলের সাফল্যে মুশফিকুর রহিমের উদযাপন হয় সাদামাটা। নিজেকে একটু আড়াল করে রাখতেই পছন্দ তার। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে, সেই মুশফিকই সবচেয়ে বেশি স্বতঃস্ফূর্ত।

মিরপুর থেকে: ব্যক্তিগত কোনো কীর্তি কিংবা দলের সাফল্যে মুশফিকুর রহিমের উদযাপন হয় সাদামাটা। নিজেকে একটু আড়াল করে রাখতেই পছন্দ তার।

কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে, সেই মুশফিকই সবচেয়ে বেশি স্বতঃস্ফূর্ত।  

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের পর সতীর্থদের নিয়ে মাঠেই নেচেছেন মুশফিক। বিপিএলে গতকাল (১৩ নভেম্বর) রাজশাহী কিংসের বোলার কেসরিক উইলিয়ামসকে ছক্কা মেরে উদযাপন করেন ব্যতিক্রমী ঢংয়ে। ওই ম্যাচে জয়ের পর মুশফিকের উদযাপন ছিল চোখ আটকে যাওয়ার মতো!
 
হঠাৎ এতটা চনমনে হয়ে যাওয়ার পেছনের কারণ জানালেন মুশফিক। ব্যাটে রানের ফোঁয়ারা, সেই সঙ্গে দলের জয়, ব্যক্তিগত ও দলীয় সাফল্য পেয়েই বদলে গেছেন মুশফিক।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ব্যর্থ ছিলেন মুশফিক। খারাপ সময় যাচ্ছিলো ব্যাটিং ও কিপিংয়ে। টেস্ট সিরিজ শুরু হতেই খোলস ছেড়ে বের হন মুশফিক। ফিরে পান নিজেকে। বিপিএলে রান করে যাচ্ছেন ধারাবাহিকভাবে। আজও চিটাগংয়ের বিপক্ষে শেষদিকে ৪ বলে ২ চারে ১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে ভূমিকা রাখেন। আগের তিন ম্যাচের দুটিতেই পান অর্ধশতক। চার ম্যাচের অপরটিতে করেন ৩৩ রান।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) চিটাগাং ভাইকিংসকে ৭ উইকেটে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলন মুশফিক জানালেন নিজেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দের কথা, ‘এটা বলতে পারেন, আসলে ফিরে পাওয়ার আনন্দ তো অবশ্যই। এতদিন দেখলাম যে, ভেতরের উচ্ছ্বাস প্রকাশ না করে আসলে কিছুই হয় না। ভাবলাম যদি ভালো করে একটু প্রকাশ করা যায়। আমার এটুকুই কেবল বদলেছে আর কিছু বদলায়নি। ’

মিরপুরে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে রোববারের (১৩ নভেম্বর) ম্যাচটিতে কেসরিক উইলিয়ামসের করা ইনিংসের ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলটিতে ঠিকভাবে ব্যাট চালাতে পারেননি মুশফিক। তাই ক্যারিবীয় পেসার সামনে এগিয়ে এসে মুশফিককে রাগিয়ে দেওয়ার মতো কিছু একটা বলেছিলেন। উইলিয়ামসের পরের বলেই মুশফিক জবাবটা দেন শট ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে।  

পরের বলেই ডিপ মিড-উইকেটের ওপর দিয়ে বল আছড়ে ফেলেন গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে। বল যখন হাওয়ায় ভাসছে আঙুল উ‍ঁচিয়ে বোলারকে কিছু একটা বলে ওঠেন মুশফিক। যার অর্থ হতে পারে, ‘এবার দেখ বলটা উড়ে গিয়ে কোথায় পড়লো’! আম্পায়ারের আগেই নিজেই ছয়ের সংকেত দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
এসকে/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।