মিরপুর থেকে: চার ম্যাচের তিনটিতেই অর্ধশতক। আরেকটি ম্যাচে ছিলেন ১ রানে অপরাজিত।
তিন নম্বরে নেমে ওপেনার ডেভিড মালানের সঙ্গে ১৫০ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন নাফিস। ৫৯ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৫ রান করে আউট হন তিনি। এ বাঁহাতি সাজঘরে ফিরে গেলেও মালান অপরাজিত থেকে দলকে জেতান ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
ম্যাচ শেষ দুই দলের অধিনায়কের কন্ঠেই ঝড়লো নাফিসের ব্যাটিং নিয়ে প্রশংসাবাক্য। নিজ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শাহরিয়ার নাফিস অসাধারণ খেলেছেন। টি-টোয়েন্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেরা চারে যারা থাকবে তাদের একটা বড় ইনিংস খেলা। সেদিক থেকে আমি বলবো শেষ চারটা ম্যাচ খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে, আমাদের জন্য খুবই সুইটেবল হয়ে গেছে। শেষ তিন ম্যাচে যেটা হচ্ছিল না ওপেনার বা তিন নম্বরে ভালো করার, সেদিক থেকে বলবো আজকে ওপেনে মালানও অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। ’
বরিশালের আজকের (১৪ নভেম্বর) প্রতিপক্ষ চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবাল তো উপভোগই করছেন নাফিসের ব্যাটিং, ‘আগের ম্যাচটিতে আমি নাফিস ভাইয়ের ব্যাটিং দেখছিলাম। এ মুহূর্তে বিপিএলে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং করছেন উনি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রান করতে অনেক সহজ করেছেন এবং সাফল্যও পাচ্ছেন। সত্যি বলতে কী, আমি তার ব্যাটিং উপভোগ করছি। যে শটগুলো আগে খেলতেন না এমন অনেক শটই এখন খেলছেন। ’
টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় প্রথম দুই ম্যাচে ধুঁকেছে বরিশাল। শাহরিয়ার নাফিস পাঁচ থেকে তিনে নেমে আসার পরই চিত্র পাল্টে গেছে। ব্যাক টু ব্যাক অর্ধশতক করে মুশফিকের আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছেন নাফিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
এসকে/এমআরএম