চট্টগ্রাম থেকে: বিপিএলের ১৮তম ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার ৫ উইকেট হারিয়ে খুলনা টাইটানস ১৫৭ রান সংগ্রহ করেছে। দলের হয়ে অর্ধশতক হাঁকান দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
দুপুর একটায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ঢাকা ডায়নামাইটস-খুলনা টাইটানস। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসানের ঢাকার বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পয়েন্ট টেবিলের চারে থাকা খুলনার দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
খুলনার হয়ে ব্যাটিং শুরু করেন আন্দ্রে ফ্লেচার এবং হাসানুজ্জামান। প্রথম ওভারে বোলিং আক্রমণে আসেন সাকিব। আর সে ওভারেই ওপেনার হাসানুজ্জামান রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। আরেক ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার বিদায় নেন ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। সাঞ্জামুল ইসলামের বলে তুলে মারতে গিয়ে ফ্লেচার ব্যক্তিগত ২০ রান করে নাসির হোসেনের তালুবন্দি হন।
এরপর ইনিংসের নবম ওভারে বিদায় নেন শুভাগত হোম। খুলনার দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে আরও ৪৪ রান যোগ করেন শুভাগত। ব্রাভোর বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ২০ বল খেলে চারটি চারের সাহায্যে করেন ২৪ রান। দলীয় ৬৭ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় খুলনা।
চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে দলের রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন নিকোলাস পুরান আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই জুটি স্কোরবোর্ডে আরও ২৯ রান যোগ করে। ইনিংসের ১৪তম ওভারে নিকোলাস ব্যক্তিগত ১৬ রানে বিদায় নেন। ব্রাভোর বলে উইকেটের পেছনে সাঙ্গাকারার গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন তিনি। দলীয় ৯৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় খুলনা।
১৯তম ওভারে বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মোহাম্মদ শহীদের বলে ব্রাভোর হাতে ধরা পড়েন চারবার জীবন পাওয়া মাহমুদুল্লাহ। তাইবুরকে নিয়ে জুটি গড়ে স্কোবোর্ডে তিনি ৫৭ রান যোগ করেন। ৪৪ বলে চারটি চার আর চারটি ছক্কায় মাহমুদুল্লাহ করেন ৬২ রান। তাইবুর অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ২১ রান করে।
৫ ম্যাচের চারটিতে জয় আর একটিতে পরাজয় নিয়ে ঢাকার সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। এদিকে, চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে আর একটি হেরে ৬ পয়েন্ট নিয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনার সামনে থাকছে টেবিলের উপরের দিকে ওঠার সুযোগ।
দিনের অপর ম্যাচে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় মাঠের লড়াইয়ে নামবে মাশরাফির কুমিল্লা আর ড্যারেন স্যামির রাজশাহী। মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে মাশরাফির দলকে লড়তে হচ্ছে নিজেদের খুঁজে পেতে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা ৫ ম্যাচের কোনোটিতেই জিততে পারেনি। পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানীতে তাদের অবস্থান। এদিকে, ভালো অবস্থানে নেই রাজশাহী। স্যামি-সাব্বির-মেহেদি মিরাজদের দলটি চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে, জিতেছে একটি ম্যাচে, সংগ্রহ দুই পয়েন্ট। টেবিলে তাদের অবস্থান ছয় নম্বরে।
৫ ম্যাচ খেলা রংপুর রাইডার্স চারটিতে জয় আর একটিতে পরাজয় নিয়ে ৮ পয়েন্ট অর্জন করে টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে। মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলস ৫ ম্যাচের ৩টিতে জয় আর ২টিতে পরাজয় নিয়ে সংগ্রহ করেছে ৬ পয়েন্ট, অবস্থান তিন নম্বরে। সর্বোচ্চ ৬ ম্যাচ খেলা তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংস ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ১৯ নভেম্বর ২০১৬
এমআরপি